প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড ডে মিলে কারচুপির অভিযোগ, শো-কজ করলেন BDO

মিড ডে মিল প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শনে যখন গোটা রাজ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তখনই বেনিয়মের অভিযোগে নদিয়ার এক প্রধান শিক্ষককে শো কজ করলেন বিডিও। অভিযোগ, ওই প্রধান শিক্ষক স্কুলে ছাত্রসংখ্যা বাড়িয়ে দেখিয়েছেন। এমনকী মিড ডে মিলের টাকায় কারচুপি করেছেন তিনি।

নদিয়ার তেহট্ট ২ নম্বর ব্লকের নাজিরপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পশুপতি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিড ডে মিলের ছাত্রসংখ্যা বাড়িয়ে দেখিয়েছেন তিনি। কারচুপি করেছেন হিসাবে। এমনকী স্কুলে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকরভাবে মিড ডে মিল রান্না হয়। তার জেরে মাঝে মাঝেই রান্নায় পোকা, টিকটিকি প্রভৃতি পাওয়া যায়।

অভিযোগ পেয়ে স্কুলে গিয়েছিলেন ব্লকের মিড ডে মিল প্রকল্পের পরিদর্শক। তাঁর সামনে ক্ষোভ উগরে দেন অভিভাবকরা। এর পর মিড ডে মিলের হিসাব খাতা খতিয়ে দেখে পরিদর্শক জানতে পারেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজোর পরদিন স্কুল ছুটি ছিল। কিন্তু ওই দিন একটি শ্রেণিতে ক্লাস হয়েছে বলে উল্লেখ করে সেখানে প্রধান শিক্ষক উপস্থিতির সংখ্যা লিখেছেন ১৫৭।

বিষয়টি বিডিও শুভাশিস মজুমদারকে জানান তিনি। গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রধান শিক্ষককে শো কজ করেন বিডিও। ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্কুলের অন্য শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক নিজেই গোটা মিড ডে মিল প্রকল্প দেখভাল করেন। অন্য কোনও শিক্ষককে এবিষয়ে কিছুই জানান না। প্রতিবাদ করলে নানা ভাবে হেনস্থা করা হয়। বাড়তি ক্লাস করাতে বাধ্য করা হয়। কখনও ছুটি কেটে নেন তিনি। এমনকী ‘দেখে নেব’ বলে হুমকিও দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।