শ্যামনগরে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৩২ অপরাহ্ণ, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বংশীপুর ফাতেমাতুজ জোহরা মহিলা মাদ্রাসার বড় হুজুরের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে অনুমোদনহীন এ মাদ্রাসা দ্রুত বন্ধের দাবী জানিয়েছেন। অভিযুক্ত বড় হুজুর আব্দুস সামাদ (৫৫) বংশীপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র। তার ইসলামিক কোন জ্ঞান না থাকলেও বাড়ির মধ্যে মহিলা মাদ্রসা তৈরি করে কিশোরী ছাত্রীদেরকে বিভিন্নভাবে যৌন হেনস্তা করেন তিনি। যৌন হেনস্থার বিষয়ে বংশীপুর গ্রামের ১৪ বছর বয়সী মাদ্রাসার এক ছাত্রী, ছাত্রীর মাতা ও কয়েকজন এলাকাবাসী এ অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার বড় হুজুর আব্দুস সামাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীরা জানান ঘটনার পর থেকে সে আত্মগোপনে আছে। বংশীপুর গ্রামের শ্লীলতাহানির শিকার মাদ্রসার ছাত্রী (ভিকটিম) বলেন, বড় হুজুর আমাকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দেয়, তিনি আমার শরীরে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি সেদিন থেকে আর মাদ্রাসায় যাইনে।

ঐ ছাত্রীর মাতা বলেন, ‘আমার মেয়েকে পড়তে দিছিলাম আলেম তৈরি করার জন্য কিন্তু সে আমার মেয়ের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রসার পাশের এক বাসিন্দা বলেন, ‘কয়দিন আগেও হুজুরের ছেলে রাসেলের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।’ বসত বাড়ির মধ্যে মহিলা মাদ্রসা করে কিশোরী ছাত্রীদের সাথে আপত্তিকর আচরণ করায় এলকাবাসী প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন এবং তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।

সালাউদ্দিন/সাএ