Darjeeling: ফের অবৈধ নির্মাণ দার্জিলিংয়ে, বিপন্ন পাহাড়, বিস্ফোরক হামরো পার্টি

রাজ্যের শৈল শহর দার্জিলিংয়ে বার বার অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বহুতলের ফাঁকে অনেক সময় হারিয়ে যায় কাঞ্চনজঙ্ঘাও। অবৈধ নির্মাণ ভাঙা নিয়ে চাপানউতোরও তুঙ্গে ওঠে পাহাড়ে। তবে এবার ফের হামরো পার্টি এনিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে। কিছুদিন আগে অজয় এডওয়ার্ডের নেতৃত্বে হামরো পার্টি দার্জিলিং পুরসভায় ক্ষমতায় ছিল। তবে তাদের দাবি, পাহাড়়ে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তোলার জেরেই তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তাদের সরানো হয়েছে।

এবার হামরো পার্টির নেতা তথা প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান রীতেশ পোর্টেলের অভিযোগ, আবার নতুন করে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে দার্জিলিংয়ে। বিস্ফোরক অভিযোগ।

সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। তারপরে দার্জিলিংয়ের বহুতল নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে এবার সেই প্রসঙ্গ তুলেছেন হামরো পার্টির নেতৃত্ব। হামরো পার্টির নেতৃত্ব জানিয়েছেন, দার্জিলিংয়ে ফের বেআইনি নির্মাণ মাথা চাড়়া দিচ্ছে। তাদের দাবি, দার্জিলিং শহরে ৪৬টি পয়েন্টে নিয়ম ভেঙে বেআইনী নির্মাণ হচ্ছিল। সেখানে আপত্তি তুলেছিলেন তারা। তার তালিকাও তৈরি হয়েছিল। এমনকী দুটি বাড়ির কাজ ভেঙেও দেওয়া হয়। তবে বর্তমানে আর তাদের বোর্ড ক্ষমতায় নেই। আর তার জেরেই বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের। আর নতুন বোর্ড ক্ষমতায় আসার পরে ফের বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে বলে হামরো পার্টির দাবি।

তবে জিটিএর চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন, পুরসভা নির্মাণকাজে লক্ষ্য রাখবে। অভিযোগ পেলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।

অবৈধ নির্মাণকে ঘিরে পাহাড়ে রাজনৈতিক আঙিনা চাপানউতোর তুঙ্গে। তবে অনেকের মতে, গত কয়েকবছরে পাহাড়ের চালচিত্রটা দ্রুত বদলে গিয়েছে। যে পাহাড়ে হাতে গোনা বড় বাড়ি দেখা যেত বিগত দিনে সেখানেই গড়ে উঠেছে একের পর এক বহুতল। ভূমিকম্প প্রবণ পাহাড়ে তৈরি হয়ে গিয়েছে কংক্রিটের জঙ্গল। একাধিক বাড়ি ও হোটেলের উচ্চতা ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়েছে। কাদের প্রশয়ে পাহাড়ে এই অবৈধ নির্মাণ তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। তবে এর আগেই পাহাড়ে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন হামরো পার্টির প্রধান অজয় এডওয়ার্ড। নির্মাণের নাম করে অবৈধ লেনদেনের অভিযোগও উঠেছিল।

এবার হামরো পার্টির অপর নেতাও এনিয়ে সরব হলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সকলের প্রিয় দার্জিলিংয়ের সুরক্ষার জন্য কবে রাজনৈতিক কাদাছোড়াছুড়িকে সরিয়ে রেখে পাহাড়ে অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কড়া হবে সরকার।