Madhyamik Examination: মাধ্যমিকে এবার অ্য়াপে নজরদারি, অগ্নি-পরীক্ষা পর্ষদের

সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। বাংলার ছাত্রছাত্রীদের কাছে জীবনের সব থেকে বড় পরীক্ষা। আর সেই পরীক্ষার আয়োজনকে ঘিরে এবার পর্ষদের অগ্নিপরীক্ষা। সেই পরীক্ষাকে ত্রুটিমুক্ত রাখাটা পর্ষদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সেকারণেই এবার নয়া প্রযুক্তি কাজে লাগাতে চাইছে পর্ষদ।

মাধ্যমিক পরীক্ষার নজরদারিতে এবার একটি রিয়েল টাইম অ্য়াপকে কার্যকরী করতে চাইছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।গোটা পরীক্ষা ব্যবস্থাকে ত্রুটিমুক্ত করার জন্যই এই বিশেষ অ্যাপকে কার্যকরী করা হবে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্তদের মোবাইলে এই অ্যাপটি থাকবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে তাঁরা পরীক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে, কোথাও কোনও ত্রুটি হচ্ছে কি না তা সরাসরি জানাতে পারবেন পর্ষদকে। দ্রুততার সঙ্গে তারা তথ্য দিতে পারবেন।

বাংলার প্রত্যন্ত এলাকাতেও পরীক্ষা সংক্রান্ত ব্যবস্থায় কোনও ত্রুটি ধরা পড়লে তা দ্রুত পর্ষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। কোথাও প্রশ্ন ফাঁস বা গণটোকাটুকির ঘটনা হলেও তা জেনে যাবে পর্ষদ। তবে এই অ্য়াপের ব্যবহার সংক্রান্ত ব্যাপারে দ্রুত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অ্য়াপের খুঁটিনাটি নিয়ে পদস্থ আধিকারিকদের বোঝানো হবে। ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই অ্য়াপ ব্যবহারের নানা দিক নিয়ে পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের বোঝানো হবে। তাঁরা নিজেদের মোবাইলে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করে নেবেন।

এদিকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষাকে ত্রুটিমুক্ত করা সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর বার বার নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। শিক্ষা দফতরের কর্তারা একের পর এক জেলে চলে গিয়েছেন। এমনকী প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও ভুরি ভুরি অভিযোগ। সেক্ষেত্রে পরীক্ষায় কোথাও ত্রুটি ধরা পড়লে গোটা শিক্ষা দফতরের উপরেই আঙুল উঠবে। মুখ পুড়বে সরকারের। সেকারণেই আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না শিক্ষা দফতর।

তবে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পরীক্ষা ব্যবস্থাকে কতটা ত্রুটিমুক্ত করা যাবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। কারণ এর আগেও বলা হয়েছিল প্রশ্নপত্রের প্য়াকেটে চিপ লাগানো রয়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি বাংলার একাধিক প্রত্যন্ত এলাকায় টোকাটুকির খবরও সামনে এসেছিল। এবার সেই টোকাটুকিকে রুখে দেওয়া, এবার প্রশ্ন ফাঁসের কোনও সম্ভাবনা থাকলে তা রুখে দেওয়াটাও পর্ষদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে শিক্ষা দফতরের অন্দরে কেউ অন্তর্ঘাত করছে কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।