Turkey Earthquake: Former Chelsea Footballer Christian Atsu Missing Claims Reports

নয়াদিল্লি: ৭.৯ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প (Turkey Earthquake), তাতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল একের পর এক বাড়িঘর। তুরস্ক এং উত্তর-পশ্চিম সিরিয়া বর্তমানে যেন মৃত্যপুরী। ইতিমধ্যেই খবর অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ৩,৮০০ ছাড়িয়েছে। ধ্বংস্তূপের তলায় এখনও হাজার হাজার মানুষ। সেই তালিকায় রয়েছেন ঘানার তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ান আতসু (Christian Atsu)। 

নিখোঁজ চেলসি প্রাক্তনী

চেলসি এবং নিউক্যাসল ইউনাইটেডের হয়ে অতীতে খেলার সুবাদে প্রিমিয়ার লিগ অনুরাগীদের কাছে আতসু একজন পরিচিত মুখ। বর্তমানে তিনি তুরস্কের হাতায়স্পরে খেলেন। খবর অনুযায়ী আতসুও ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা পড়েছেন। ২৪ ঘণ্টা পরও খোঁজ মেলেনি তাঁর। স্বাভাবিক আতসুর পরিস্থিতি নিয়ে ফুটবলবিশ্বের বাড়ছে উদ্বেগ। অবশ্য আরেক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর তাঁকে অবশেষে পাওয়া গিয়েছে। তাঁর ডান পায়ে চোট রয়েছে এবং নিঃশ্বাস নিতেও তাঁর সমস্যা হচ্ছে বলে খবর। তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মৃত্যুপুরী তুরস্ক

সোমবার ভোরে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি উভয় দেশে অনুভূত হয়। সেই ধাক্কায় বিশাল বিশাল বহুতল ধসে পড়ে। ধ্বংস হয়ে যায় হাসপাতাল। হাজারো মানুষ ছাপা পড়ে যান।  গৃহহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাপমাত্রা রাতারাতি হিমাঙ্কের কাছাকাছি নেমে গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া বা গৃহহীনদের অবস্থা আরও খারাপ করেছে আবহাওয়া । যাঁরা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন, তাঁদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া অনেকেই ঠান্ডার কামড়ে প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রবল ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজও।                       

মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে কেউ জানে না ! প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ ! চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ আর সার সার মৃতদেহের ছবি সামনে এসেছে। তারমধ্যেই সোমবার ভোরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৫০ বার আফটার শক হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ায়। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১৯৩৯ সালে শেষবার এমনই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তুরস্কে। সেবারও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৩ হাজার মানুষ।

আর সোমবারের মহাপ্রলয়ের পরও অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। সঙ্কটের এই মুহূর্তে তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। তুরস্ক যাচ্ছে NDRF-এর দুটি উদ্ধাকারী টিম, সঙ্গে ডগ স্কোয়াড। প্রচুর ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রীও পাঠানো হচ্ছে ভারত থেকে।

আরও পড়ুন: ভারতের মাটিতে সিরিজ জয় অ্যাসেজের থেকেও বড়, মত স্টিভ স্মিথের