Supreme Court: সিকিমিজ-নেপালিদের ‘বিদেশি বংশোদ্ভূত’ আখ্যা বিতর্কে ইতি টেনে বড় পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের

সিকিমের কর ছাড় সংক্রান্ত এক মামলার রায়ের নথিতে সিকিমিজ-নেপালিদের ‘বিদেশি বংশদ্ভূত’ উল্লেখটি মুছে দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই ইস্যুতে কেন্দ্র সমেত একাধিক জায়গা থেকে আর্জি আসার পরই এই বক্তব্য পেশ করে সুপ্রিম কোর্ট।

উল্লেখ্য, সদ্য সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে সদ্য সিকিমে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে যায়। সিকিমের সিকিমিজ-নেপালি সম্প্রদায় কোর্টের এই রায় নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এম আর শাহ, বিভি নাগারত্নের বেঞ্চ এই রায়ে কিছু বদল করে। রায়ের ক্ষেত্রে ওই শব্দে যাতে বদল আনা হয়, তার আর্জি যায় কেন্দ্রের কাছ থেকে। শুধু তাই নয়, সিকিমের একাধিক সংগঠনের তরফে এই আর্জি জানানো হয়। উল্লেখ্য, রায়ের যে অংশে লেখা রয়েছে, ‘ বিদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তিরা যেমন নেপালিদের মতো যাঁরা সিকিমে বসতি স্থাপন করেছিলেন’ সেটি সরিয়ে দিতে সম্মত হয় প্রাথমিকভাবে। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আর্জি জানান, গোটা বাক্যটিই সরিয়ে দেওয়া হোক। এরপর বেঞ্চ সম্মত হয়, বাক্যেটি সরাতে। যে বাক্য নিয়ে ছিল ক্ষোভ, সেটিতে লেখা ছিল,’বিশেষত ভুটিয়া লেপচারা, আর বিদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তিরা যাঁরা সিকিমে বসতি স্থাপন করেছেন নেপালিদের মতো।’ 

প্রসঙ্গত, বাইচুং ভুটিয়ার দল ‘হামরো সিকিম’ পার্টি সমেত একাধিক সিকিমের সংগঠন সুপ্রিম কোর্টের ওই রায়ে উল্লিখিত অংশ নিয়ে ক্ষোবে ফেটে পড়ে। সদ্য প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন সিকিমের স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনি কুমার শর্মা। সিকিমের বাসিন্দাদের ‘অভিবাসী’ ও ‘বিদেশি বংশোদ্ভূত’ বলে তকমা দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হন সেখানের বাসিন্দারা। উল্লেখ্য, যে মামলা নিয়ে এই শোরগোল, তা ছিল আয়কর ছড়া সংক্রান্ত মামলা। প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ২৬ এপ্রিল মাসে ভারতের অন্তর্ভূক্ত হয় সিকিম। সেই সময়ের আগে থেকে যাঁরা বসবাস করছেন, তাঁদের আয়করে ছাড়ের দাবিতে মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। মামলা করে ‘অ্যাসোসিয়েশন অফ ওল্ড সেটলার্স অফ সিকিম’। সেই পিটিশনের প্রেক্ষিতে রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট, নেপালি ও সিকিমিজদের ‘বিদেশি’ ও ‘অভিবাসী’ বলে বার্তা দেয়। সেই বার্তা উঠে আসতেই ক্ষোভের আগুন জ্বলে সিকিমে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup