ধরতে পারল না পুলিশ, আদালতে আত্মসমর্পণ নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্ত TMCP নেতার

হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ার নাবালিকা ধর্ষণকাণ্ডে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন কাঁথির তৃণমূল ছাত্রনেতা শুভদীপ গিরি। বৃহস্পতিবার সকালে কাঁথি আদালতে হাজিক হয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তবে প্রশ্ন উঠছে, আদালতে জামিনের আবেদন খারিজের পরেও কেন শুভদীপকে গ্রেফতার করল না পুলিশ? অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে আত্মসমর্পণের সুযোগ দিয়ে কী বার্তা দিল রাজ্যের শাসকদল?

গত ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুভদীপ গিরির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আদালতে পুলিশ জানায়, শুভদীপকে খুঁজে পাচ্ছে না তারা। তবে আদালতে জামিনের আবেদন খারিজের পর তৃণমূলের ছাত্রনেতার আত্মসমর্পণ করা ছাড়া উপায় ছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে কাঁথি আদালতে এসে বিচারকের সামনে আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

গত জানুয়ারিতে শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। অভিযোগে তিনি জানান, গত অক্টোবরে মেয়েকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিঘায় নিয়ে যায় শুভদীপ। সেখানে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে। নাবালিকার আপত্তিকর ছবি তুলে রাখে সে। এর পর সে নাবালিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। উলটে সেই ছবি দেখিয়ে বারবার নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করতে থাকে শুভদীপ।

এই ঘটনায় অভিযোগের পরেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নাবালিকার বাবা। যার জেরে গভীর রাতে তাঁদের বাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে, ভালোবেসে থাকলে আপত্তিকর ছবি তুললেন কেন?

শুভদীপের আত্মসমর্পণ নিয়ে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, আদালতের নির্দেশের পরেও শাসকদলের একজম মামুলি ছাত্রনেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারল না। এই পুলিশ সাধারণ মানুষকে তারা কী করে নিরাপত্তা দেবে? আসলে রাজ্য সরকারের নির্দেশে পুলিশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে। নাবালিকা ও মহিলাদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে গুন্ডা পুষতে চায় এই রাজ্য সরকার। তাদের বার্তা দিতেই শুভদীপের গায়ে হাত দিল না পুলিশ।