বাড়িতে কেউ ছিল না, নবম শ্রেণির ছাত্রীর যোনিতে আঙুল ঢোকানোর চেষ্টা গৃহশিক্ষকের

ফের ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠল গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার। অভিযোগ নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর যোনিতে আঙুল ঢোকানোর চেষ্টা করেন গৃহশিক্ষক। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে তখন কেউ ছিলেন না। নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক। বাড়িতে কেউ না থাকায় ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করার চেষ্টা করেন তিনি। ছাত্রী তাঁকে বাধা দিলেও গায়ের জোরে তাঁকে বশ করেন। এর পর ছাত্রীর যোনিতে আঙুল ঢোকানোর চেষ্টা করেন তিনি। কোনওক্রমে গৃহশিক্ষককে নিবৃত্ত করেন ছাত্রী।

বাড়ির লোকেরা ফিরলে তাদের ঘটনার কথা জানান ছাত্রী। রাতেই অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তের দাবি, তিনি নির্দোষ। বুধবার তাকে বারুইপুর আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মঙ্গলবারই এক রায়ে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিত কোনও ব্যক্তি কোনও নাবালিকার নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাস খুলে শুইয়ে দিলে তা ধর্ষণের সমান অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অনন্যা গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশে তিনি জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি এই কাজ করেছেন ধর্ষণ ছাড়া তার অন্য কোনও অভিপ্রায় থাকতে পারে না। নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া না গেলেও এক্ষেত্রে ধর্ষণের ধারাতেই সাজা হবে। নাবালিকাদের ওপর যৌন নির্যাতনের চেষ্টাকেও ধর্ষণের সমান অপরাধ বলে চিহ্নিত করেছে কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়।