Calcutta High Court: ৫১ বছরের পুরনো ডাকাতির ঘটনায় আসামিকে কারাবাসের মেয়াদ পূরণ করার নির্দেশ আদালতের

১৯৭২ সালে একটি ডাকাতির ঘটনায় এক আসামিকে পাঁচ বছরে কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। তবে পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জামিন হয়ে গিয়েছিল ওই আসামির। সেই মামলায় ওই আসামিকে পাঁচ বছর কারাবাসের বাকি মেয়াদ পূরণ করতে হবে বলে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর জন্য আসামিকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের উচ্চ আদালত।

এদিন মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত বলেন, ‘ন্যায়বিচার পেতে দেরি হতে পারে তবে তা প্রত্যাখ্যান করা যায় না।’ বিচারপতি শুভেন্দু সামন্ত তাঁর নির্দেশে বলেছেন, ‘সভ্য সমাজ সর্বদা ন্যায়বিচার দাবি করে এবং ন্যায়বিচারের সন্ধান করে। তবে সময়ের ব্যবধানের কারণে এটিকে প্রত্যাখ্যান করা যায় না।’ উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল মেদিনীপুর শহরের একটি বাড়িতে। ওই বাড়ির সদস্যদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বেশ কিছু জিনিসপত্র এবং টাকা, পয়সা লুট করে পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় তদন্তে নামে পুলিশ। দুজনকে গ্রেফতার করে। তারপর থেকে তারা জেলে ছিলেন। ঘটনায় শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। মামলা চলে মেদিনীপুর জেলা আদালতে। ১৯৮৪ সাল থেকে এই মামলার বিচার চলছিল মেদনীপুর জেলা আদালতে। সেখানে দোষী সাব্যস্ত হন অহীন্দ্র কুমার মাঝি-সহ আরও একজন। তাদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় মেদিনীপুরের আদালত। তবে ৫ বছরের মধ্যে গ্রেফতার হওয়ার পর বেশ কয়েক বছর জেলে ছিল ওই আসামি। এদিকে, মামলা চলাকালীনই মৃত্যু হয় অন্য আসামির। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অহীন্দ্র কুমার মাঝি।

বিচারপতি সামন্ত বলেন, ‘এটা সত্য যে ঘটনাটি ১৯৭২ সালে ঘটেছিল এবং আমরা রয়েছি ২০২৩ সালে। ইতিমধ্যেই দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছে।’ এরপরেই মেদিনীপুর দায়রা আদালতের আদেশ বহাল রেখে বিচারপতি জানান, আবেদনকারী জামিনে রয়েছে। নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বাকি মেয়াদ পূরণ করতে বলেছে। নির্দিষ্ট সময়ের আবেদনকারী আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে।

মামলাকারীর আইনজীবী স্বপনকুমার মল্লিক জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের বয়স এখন ৮০ বছর। তাই মামলাটি পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানাবেন। সরকারি আইনজীবী জানান, দুজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়টি মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি রিভিউ পিটিশন করা হবে।

 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup