Medical Bills: বিল না মেটালেও দেহ আটকে রাখা যাবে না রাজ্যের নার্সিংহোমে: কমিশন

নার্সিংহোমে আকাশছোঁয়া বিল। অনেক চেষ্টা করেও রোগীর মৃত্যু এড়ানো যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে বিল না মেটানো পর্যন্ত দেহ না ছাড়ার ঘটনা প্রায়শই শোনা যায়। বরং সেটাই যেন সাধারণ রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে হঠাত্ এত বেশি টাকা জোগাড় করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন পরিবার-পরিজন। এবার সেই বিষয়েই নজর দিল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন’।

বুধবার মালদহের সানাউল্লাহ মঞ্চে মালদহ ও দুই দিনাজপুর জেলার বেসরকারি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পশ্চিমবঙ্গ আরোগ্য নিকেতন আয়োগের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন জেলার প্রায় ১৭০টি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন।

নিয়ম কী বলছে?

এদিনের বৈঠকে অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রোগীর প্রয়াণের পর বিল যদি না-ও মেটানো হয়, সেক্ষেত্রেও দেহ এক মিনিটও আটকে রাখার অধিকার নেই নার্সিংহোমের। যদি আটকানো হয়, সেক্ষেত্রে নার্সিংহোম ফৌজদারি আইনের আওতায় পড়বে।

নার্সিংহোমের বিল মেটানো নিয়ে সাধারণত চিকিত্সকরাও মুশকিলে পড়েন। রোগীর পরিবার এবং নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের মাঝে চাপে পড়ে যান তাঁরা। এই দুরাবস্থার বিষয়েও এদিন নীতি স্পষ্ট করে দেয় রাজ্যের নার্সিংহোম নিয়ন্ত্রক কমিশন। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কর্তব্যরত চিকিত্সক যদি তাঁর রোগীকে ছুটি দিয়ে দেন, সেক্ষেত্রেও রোগীকে বিল মেটানো হয়নি বলে আটকে রাখতে পারবে না নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। ফলে পুরো বিষয়টায় চিকিত্সকের উপর আর কোনও চাপ থাকবে না।

কমিশনের এই সংক্রান্ত নিয়মাবলী নতুন নয়। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে এই নিয়ম বেশিরভাগ স্থানেই মেনে চলা হয় না। এদিনের বৈঠকে সেই নিয়ম-নীতিগুলিই নার্সিংহোমদের ফের মনে করিয়ে দেয় কমিশন।

বৈঠকে মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়াও উপস্থিত ছিলেন। তিনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে পরিষেবা প্রদানের বিষয়ে জেলার নার্সিংহোমগুলিকে সতর্ক করেন। ভুক্তভোগীদের অনেকেরই দাবি, নার্সিংহোমে গেলেই আগে জানতে চাওয়া হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ডধারী কিনা। তেমন রোগী হলেই ফিরিয়ে দিচ্ছে অনেক নার্সিংহোম। এমনটা করা হলে এবং অভিযোগ আসলে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেন জেলাশাসক।

সাধারণ মানুষকেও সচেতন করা হবে

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিটি নার্সিংহোমে আমরা আমাদের কমিশনের ফ্লেক্স ঝোলানোর ব্যবস্থা করব। এর ফলে রোগী ও তাঁদের পরিবার কমিশনের নির্দেশিকা সম্বন্ধে অবহিত হবেন। পাশাপাশি নার্সিংহোমগুলিতে পাবলিক গ্রিভান্স সেলও রাখতে হবে। সেখানে কোনও অভিযোগ জানানো হলে, সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম ব্যবস্থা নেবে।’

মালদহে দু’দিনের সফরে এসেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের দুই সদস্য মৈত্রেয়ী বন্দ্যোপাধ্যায়, মাধবী দাস এবং কমিশনের সচিব আরশাদ হাসান ওয়ারশি।  আরও পড়ুন: Google-এর এই ছোট্ট ভুলেই ৮ লক্ষ কোটি টাকা বাজারমূল্য হাওয়া!

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup