Congress Replying to Modi’s ‘Sermon’: ‘সেবার তো…’, সংসদীয় আচরণ নিয়ে মোদীর বার্তার জবাবে ২০০৪ মনে করাল কংগ্রেস

গতকাল রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদজ্ঞাপন বক্তৃতা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় আদানি ইস্যুতে মোদীর উদ্দেশে ধারাবাহিক ভাবে স্লোগান তুলে যান বিরোধী সাংসদরা। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এর জবাবে কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ ২০০৪ সালের সংসদীয় অধিবেশনের কথা মনে করান। সেবার বিরোধী আসনে ছিল বিজেপি। বিরোধীরা সংসদে এত হট্টগোল করেছিলেন যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের জবাবি বকৃতা ছাড়াই রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাব পাশ হয়েছিল সংসদে। এই নিয়ে টুইট করে পদ্ম শিবিরকে তোপ দাগেন জয়রাম। তিনি লেখেন, ‘২০০৪ সালের জুন মাসে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবে জবাব দিতে দেননি প্রধানমন্ত্রী মনোমহন সিংকে। তবে আজ রাজ্যসভায় অনেক দীর্ঘ প্রবচন শোনা গিয়েছিল।’

আদানির সঙ্গে তাঁর ‘যোগ’ নিয়ে দুই দিন আগেই লোকসভায় গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই এই নিয়ে উত্তাল সংসদ। এই আবহে গতকাল রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার সময়কালেও ঝড় তোলেন বিরোধী সাংসদরা। নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতার সময় বিরোধীরা স্লোগান তোলেন, ‘আদানি পর কুছ তো বোলো’, ‘আদানি গোলামি বন্ধ করো’। যদিও সেই সব রেকর্ডে যায়নি। এরই মাঝে আজ আদানির কোনও উল্লেখ না করেই প্রধানমন্ত্রী এদিন মন্তব্য করেন, ‘কারও কারও ভাষা, আচরণ ভারতের জন্য হতাশাজনক।’

এদিকে কংগ্রেস ও গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ শানিয়ে মোদী বলেছিলেন, ‘কোনও এক রিপোর্টে পড়েছিলাম… আমি যাচাই তো করিনি, তবে তাতে বলা হয়েছিল যে সরকারের প্রায় ৬০০টি প্রকল্পের নাম গান্ধী পরিবারের সদস্যদের নামে। আমি এটা বুঝতে পারি না যে তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের কেউ নেহরু পদবি কেন ব্যবহার করেন না। এত কিসের লজ্জার? এত মহান ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এই দেশ কোনও এক পরিবারের সম্পত্তি নয়। আমরা মেজর ধ্যানচাঁদের নামে খেল রত্ন সম্মানের নামকরণ করেছি। আন্দামানে আমরা নেতাজির নামে দ্বীপের নামকরণ করেছি। অনেকেই দেশের সেনাকে অসম্মান করে। তাই আমি দেশের দ্বীপপুঞ্জের নামকরণ করেছি পরমবীরচক্রদের নামে।’