Madhyamik Exam Candidate Numbers Dropped: এক ধাক্কায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমল ৪ লাখ! এবার ক’জন বসবেন পরীক্ষায়?

আর কয়েকদিন পরই শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড বিলি শুরু হবে। এরই মধ্যে মাসনে এল এবারের মাধ্যমিকের সম্ভাব্য পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা। জানা গিয়েছে, এবারের মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থী রয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৮। তাদের মধ্যে ছাত্র রয়েছে ২ লাখ ৯০ হাজার ১৭২ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২১। গতবছর রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৯৮ হাজার ৭৭৫। সেই তুলনায় এই বছর অনেকটাই কমেছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।

মোট ২ হাজার ৮৬৭টি পরীক্ষাকেন্দ্রে এবারে অনুষ্ঠিত হবে মাধ্যমিক পরীক্ষা। নজরদারির দায়িত্বে থাকছেন ৪০ হাজার পরীক্ষক। এদিকে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন করা থাকবে। থাকবে সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে আরও অনেক পদক্ষেপই করা হয়েছে এবার। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রগুলি থেকে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করবে পর্ষদ। পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরো মডেলের ট্রায়াল চলবে। মাধ্যমিকের পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে অভিভাবকরা প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি।

এদিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুলে গিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। সংসদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, প্রয়োজনে অ্যাডমিট কার্ডে সংশোধনের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করা যাবে। অ্যাডমিট কার্ডগুলি বণ্টনের জন্য শিবিরের আয়োজন করেছে পর্ষদ। ১৩ ফেব্রুয়ারি, সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওই শিবিরগুলি থেকে নিজেদের স্কুলের পরীক্ষার্থীদের জন্য অ্যাডমিট কার্ডগুলি সংগ্রহ করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকরা। এর পর ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তা পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রয়োজনী সংশোধনীর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। এরপর থেকে আরও কোনও আবেদনপত্র গৃহীত হবে না। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত।

প্রসঙ্গত, ২৩ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার প্রথম পত্রের পরীক্ষা। ২৪ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা। ২৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার ভূগোলের পরীক্ষা। ২৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার জীবনবিজ্ঞানের পরীক্ষা। ১ মার্চ, বুধবার ইতিহাসের পরীক্ষা। ২ মার্চ, বৃহস্পতিবার অঙ্কের পরীক্ষা। ৩ মার্চ, শুক্রবার ভৌতবিজ্ঞানের পরীক্ষা। ৪ মার্চ, শনিবার অপশনাল ইলেকটিভ সাবজেক্টের পরীক্ষা। এরপর ফিজিকাল এডুকেশন ও সোশ্যাল সার্ভিসের পরীক্ষা – ৬ মার্চ, ৯ মার্চ, ১০ মার্চ, ১১ মার্চ এবং ১৩ মার্চ। পরে ওয়ার্ক এডুকেশনের পরীক্ষা ২৮ মার্চ, ২৯ মার্চ, ৩০ মার্চ, ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল।