Puri Shankaracharya Slams Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের বিরুদ্ধে মামলা বিহারের আদালতে, RSS-কে তোপ পুরী শঙ্করাচার্যের

হিন্দু ধর্মের বর্ণভেদ প্রথা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল বিহারের এক আদালতে। অভিযোগ, পণ্ডিতদের নিয়ে মন্তব্য করে ব্রাহ্মণদের অপমান করেছেন ভাগবত। এদিকে পুরী শঙ্করাচার্য স্বামী নিসচালানন্দ সরস্বতী মঙ্গলবার আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সমালোচনা করেন বর্ণ ভেদ নিয়ে তাঁর মন্তব্যের জেরে। দাবি করা হয়, ভাগবত বলেছিলেন, বর্ণপ্রথা পণ্ডিতদের দ্বারা তৈরি হয়েছিল এবং ঈশ্বর দ্বারা নির্ধারিত করা হয়নি। এই আবহে ছত্তিশগড়ের জগদলপুর জেলায় একটি ধর্মীয় সভায় বক্তৃতাকালে, পুরী শঙ্করাচার্য স্বামী নিসচালানন্দ সরস্বতী বলেন, বর্ণ ব্যবস্থা শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের উপহার।

পুরী শঙ্করাচার্য স্বামী নিসচালানন্দ সরস্বতী বলেন, ‘প্রথম ব্রাহ্মণের নাম ব্রহ্মাজি। শাস্ত্র অধ্যয়ন করা উচিত। পৃথিবীর সমস্ত বিজ্ঞান ও কলা কেবল ব্রাহ্মণদের দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়। শিক্ষা, প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলি সর্বদা ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিত। আমরা যদি সনাতন ব্যবস্থা না মানি, তাহলে কী ব্যবস্থা থাকবে? আরএসএস-এর নিজস্ব কোনও বই নেই বা বইয়ের জ্ঞানও নেই। বর্ণ ব্যবস্থা পণ্ডিতদের দ্বারা তৈরি হয়েছে, বোকাদের দ্বারা নয়। আজও বিশ্বের সমস্যা সমাধানের জন্য মানুষ ভারতবর্ষের ব্রাহ্মণদের কাছে আসে। আমাদের কাছে এসে জাতিসংঘের সব সমস্যা সমাধান হয়।’

এর আগে মোহন ভাগবত বলেছিলেন, ‘ভগবানের সামনে সকলেই মানুষ। তিনি জাতি-ধর্ম ভেদাভেদ করেননি, তা করেছেন পুরোহিতরা। শাস্ত্রের নামে অনেক পণ্ডিত যা বলেন, তা আসলে মিথ্যা। ক্ষমতা, সম্মানে সব মানুষই এক। কারও সঙ্গে কারও প্রভেদ নেই। অনেক পণ্ডিত শাস্ত্রের নামে যা বলে থাকেন, তা আসলে মিথ্যা। তাঁরাই মানুষে মানুষে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ভাগাভাগি করেন। জাতিভেদ প্রথা আমাদের বিপথে চালিত করে। আর যা এমন বিভ্রম তৈরি করে, তা দূরে সরিয়ে রাখাই ভালো।’ তাঁর এই মন্তব্যের জেরে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে সংঘপ্রধান জাতপাতের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে ব্রাহ্মণদের অপমান করেছেন। পরে আরএসএস বিবৃতিও জারি করে। তবে তাতেও কাজ দেয়নি।