Fire in kolkata: কড়েয়ার বহুতলে ভয়াবহ আগুন, দরজা খুলতেই চিৎকার শিক্ষিকার

ফের কলকাতায় বহুতলে আগুন। কোয়েস্ট মলের কাছেই একটি আবাসনের দ্বিতলে আগুন লাগে। পার্ক সার্কাস এলাকায় কড়েয়া থানা এলাকায় সামসুল হুদা রোডের ওই বহুতলে আচমকাই আগুন লেগে যায়। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। এদিকে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক। তবে সূত্রের খবর, আপাতত আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

সূত্রের খবর, এক অধ্যাপিকা ও তাঁর স্বামী ওই আবাসনের দোতলায় থাকতেন।শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ তাঁরা ফিরে আসেন। তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না। ঘর তালাবন্ধ ছিল। এদিকে বাড়িতে ফিরে এসেই দেখেন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারদিক। দরজা খুলতেই একেবারে ভয়াবহ ছবি। ঘরের ভেতরটা ঢেকে গিয়েছে কালো ধোঁয়ায়। তার সঙ্গেই দেখা যাচ্ছে আগুনের লেলিহান শিখা।

স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু আগুন নেভেনি।এরপর দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। আবাসনের আবাসিকদের একে একে উদ্ধার করা হয়। আগুন নেভানোর জন্য় ঝাঁপিয়ে পড়েন দমকল কর্মীরা। তবে ততক্ষণে আগুনে গ্রাস করে ফেলেছে গোটা দোতলার ঘরটি। আসবাবপত্রেও আগুন ধরে যায়। প্রায় ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। এদিকে ফ্ল্য়াটের মধ্যে থাকা অধিকাংশ জিনিসপত্রই পুড়ে গিয়েছে।

কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সর্ট সার্কিট থেকেই হয়তো আগুন লেগে গিয়েছিল। আর সেই আগুনই ছড়িয়ে পড়ে ক্রমশ। তার জেরেই কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এমনটাই দাবি বাসিন্দাদের।

তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও কলকাতার একাধিক বহুতলে আগুন লাগার নজির রয়েছে। সম্প্রতি তিলজলার জুতোর গুদামে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। তিলজলার ৪২ নম্বর বাস স্ট্যান্ডের কাছে জুতোর গুদামে আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল চারদিক। প্রথমে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। এরপর আরও পাঁচটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিলজলার ৪ নম্বর সাপগাছি ফার্স্ট লেনে একটি বহুতলে রয়েছে এই জুতোর কারখানাটি। সেখানেই ক্রমে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পাঁচতলার ওই ফ্ল্যাটে দ্বিতীয় তলায় ওই জুতোর কারখানাটি রয়েছে। সেখানে একেবরে দাহ্য পদার্থে ঠাসা ছিল। সেখানে একেবারে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। সম্প্রতি ধানবাদেও বহুতলে বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল।