Howrah Incident: স্ত্রীর পচাগলা দেহ আগলে স্বামী, দুর্গন্ধে তোলপাড় হাওড়ায়, উদ্ধার করল পুলিশ

বাড়িতে স্ত্রীর পচাগলা দেহ। আর সেটা আগলে বসে রয়েছেন স্বামী। তখন এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। পুরকর্মীদের কাছে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরকর্মীরা তখন জগাছা থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে যা দেখলেন তাতে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। তবে মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। আজ, শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার জগাছায়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খোঁজখবর নিচ্ছেন।

ঠিক কী ঘটেছে জগাছায়?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ শনিবার জগাছা থানার নন্দীপাড়া এলাকায় দুর্গন্ধ বেরতে থাকে। এখানের বাসিন্দা তুষার চক্রবর্তীর বাড়ি থেকে এই গন্ধ বের হচ্ছিল। এখানেই সমীক্ষার কাজে গিয়েছিলেন পুরকর্মীরা। তাঁরা বারবার ডেকে, বেল মেরেও গৃহকর্তার সাড়া পাননি। তবে তাঁদের নাকেও দুর্গন্ধ আসে। এই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে বুঝতে পেরে খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। তাঁরাই দেখেন স্ত্রীর দেহ আগলে বসে আছেন স্বামী।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ জগাছা থানার পুলিশ সূত্রে খবর, এই বাড়িতে ঢুকে দেখা যায়, তুষার চক্রবর্তী ঘরের মেঝেয় বসে আছেন। পাশে পড়ে তাঁর স্ত্রী তপতী চক্রবর্তীর (৬৭) পচাগলা দেহ। সম্প্রতি অসুস্থ ছিলেন তপতী দেবী। তার জেরেই তিনি আজ মারা যান। আর তুষারবাবু কিছু বুঝে উঠতে না পেরে ওভাবেই হতভম্ব হয়ে বসে আছেন। কোনও কথাও বলছেন না। তাঁদের এক মাত্র মেয়ে থাকেন মুম্বইয়ে। সেখানে খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশই খবর দিয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ তুষারবাবুর বাড়ি অদূরেই থাকেন তাঁর ভাই নীহারকান্তি চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘আমি যতটা পারতাম, দাদার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতাম। কিন্তু একসপ্তাহ হল কোনও খবর পাচ্ছিলাম না। তারপর একবার এসেছিলাম। তখন দাদা ঘরের ভিতর থেকে হাঁক পেরেছিল কিন্তু দরজা খোলেনি। তখন ফিরে যাই। মনে হয় দাদা বিশ্রাম নিচ্ছে। এখন যা দেখছি তাতে আমিও অবাক।’‌ পুলিশ এখন এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলছেন।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup