Survey on pregnant women: রাজ্যে ৬ জন গর্ভবতী মহিলার মধ্যে ১ জন কিশোরী, সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

মা এবং শিশুদের জন্য মার্তৃ মা পোর্টাল চালু করেছে রাজ্য সরকার। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের প্রায় ১৭ শতাংশ গর্ভবতী মহিলা কিশোরী। অর্থাৎ রাজ্যে ৬ জন গর্ভবতী মহিলার মধ্যে ২ জন গর্ভবতী মহিলা হল কিশোরী। এর মধ্যে বিবাহিত মহিলাদের সংখ্যা মাত্র ৪ শতাংশ।

পোর্টালের সমীক্ষায় এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার পরেই স্বাস্থ্য বিভাগ মা এবং শিশু উভয়ের ঝুঁকি কমাতে কমপক্ষে ২১ বছর বয়সে গর্ভধারণ করা উচিত বলে মনে করছে। কারণ কিশোরী মায়েরা গর্ভাবস্থায় ও প্রসবের সময় জীবনের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। তাছাড়া, নবজাতকও বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়ছে। মার্তৃ মা পোর্টালে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলায় ৪ লক্ষ কিশোর-কিশোরী দম্পতি ছিল। গত সপ্তাহে একটি বৈঠকের সময় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এনিয়ে কিশোরীদের পরামর্শ দিতে এবং তাদের গর্ভনিরোধক ব্যবহার করার ওপর জোর দিতে বলা হয়েছিল৷ সরকারি তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, গত বছরের তুলনায় গর্ভনিরোধক ব্যবহার ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে মাত্র ৫০ শতাংশ কিশোর দম্পতি গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেছিলেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে এই সংখ্যাটি বেড়ে ৫৫ শতাংশ হয়েছে ৷ স্বাস্থ্য ভবন এখন কিশোরীদের গর্ভধারণ কমাতে কাউন্সেলিংয়ের ওপর জোর দিতে চাইছে।

উল্লেখ্য, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে প্রতিনিয়তই হাজার হাজার শিশুর জন্ম হচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মা বা শিশুর মৃত্যুও ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার কারণে চিকিৎসকদের প্রিম্যাচিওর ডেলিভারিও করাতে হয়, যার জেরে বাচ্চা প্রথম থেকেই দুর্বল হয়। এছাড়াও শিশুর কোনও শারীরিক ত্রুটি যেমন যেমন হাত পা বেঁকে যাওয়া, হার্টের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা থাকলে একদম ছোট বয়সেই দ্রুত চিকিৎসা দরকার, নইলে এর ফল আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। এবার ‘হাই রিস্ক’ গ্রুপের প্রসূতি মা এবং নবজাতকদের জন্য আরও সতর্ক, যত্নবান হবে রাজ্য। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ‘মাতৃমা পোর্টালের’ ঘোষণা করা হয়। যেখানে শিশু এবং মায়ের যাবতীয় চিকিৎসার নজরদারি চালানো হচ্ছে। কিশোরী অবস্থায় গর্ভবতী হলে সেক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে মায়ের যেমন ক্ষতি হতে পারে তেমনি এমনকী প্রসবের পরেও নবজাতকের কম ওজন হতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট ও জন্ডিস হতে পারে। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রনীল সাহা।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup