Viral News: বয়স ৩৮, তবু বিয়ে করে না ছেলে! কোনও রোগ নয় তো? সন্দেহের বশে মা যা করলেন

বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে, অথচ ছেলের বিয়ে নিয়ে কোনও হুঁশই নেই। এই দেখে কোন বাবা-মায়ের না চিন্তা হয়! এই গল্প এখন ঘরে ঘরে শোনা যায়। পছন্দের মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিতেও অনেক বাবা মা জোরাজুরি করেন। তবে এ শুধু ভারতেই হয়, ভাবলে ভুল ভাববেন। চিনের বাবা-মাও একইরকম দুশ্চিন্তায় থাকেন। সম্প্রতি সেই দুশ্চিন্তা থেকেই অদ্ভুত কান্ড ঘটিয়ে বসলেন এক মা।

ছেলেদের বিয়ে না হলে মায়েরা বেশ দুশ্চিন্তা করেন। ছেলের সেদিকে খেয়াল না থাকলে মা নিজেই মেয়ে খুঁজতে শুরু করেন‌। তখন আর ছেলের ওজর আপত্তি খাটে না। তবে চিনের এই পরিবারে তেমনটা ঘটেনি। ছেলের বয়স ৩৮ বছর। তার বিয়ের ইচ্ছে তো দূর, কোনও গার্লফ্রেন্ড নেই! কোনও সমস্যা আছে নাকি? কিছু লুকোচ্ছে না তো ছেলে? দুশ্চিন্তায় আর থাকতে না পেরে ছেলেকে নিয়ে গেলেন সোজা সাইকিয়াট্রিস্টের দরজায়। সাইক্রিয়াট্রির হাসপাতালে চিকিৎসক দেখানোর সময় তাঁর প্রশ্ন, ছেলের কি মাথায় কোনও গন্ডগোল আছে? নয়তো এত বছর বয়সেও কেন বিয়ে করছে না!

ওয়াং নামের ছেলেটি তাঁর শহরে ‘সুপার ওল্ড সিঙ্গল ম্যান’ হিসেবে পরিচিত। বেশ কয়েকটি কারণে তিনি মনে করেন তিনি এখনও বিয়ের যোগ্য নন। এতদূর তাও ঠিক ছিল। কিন্তু মাকে সন্তুষ্ট করতে প্রতি বছর লুনার নববর্ষের সময় তাঁকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়। তাই বলে নিজেকে অবিবাহিত পুরুষ বলে ভাবতেও রাজি নন তিনি। বরং তাঁর কথায়, কাজের ব্যস্ততায় আর বিয়ে করা হয়ে উঠছে না। তাছাড়া, এখনও পর্যন্ত ‘সঠিক মানুষ’ আসেনি তার জীবনে। ফলে বিয়েটাও করা হচ্ছে না। কিন্তু তাঁর মায়ের রীতিমতো রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। ৩৮ বছরেও কেউ বিয়ে না করে থাকে! এই ভেবেই চোখের তলায় কালি পড়ছে মায়ের।

ওয়াং দশ বছর কাজ করছেন বেজিং-য়ে। প্রথমজীবনে একজন অভিনেতা হলেও পরবর্তী জীবনে টেনিস কোচ ছিলেন। দশ বছর কাজ করলেও সেভাবে জমেনি ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স। বেজিংয়ে একটা বাড়ি কিনতে ডাউন পেমেন্ট করার মতো পয়সাও নেই তাঁর হাতে। এই অবস্থায় ‘কে আমাকে বিয়ে করবে?’ প্রশ্ন তাঁর। প্রসঙ্গত চিনের বেশ কিছু এলাকায় এখনও পণপ্রথা রয়েছে। ছেলের বাড়ি থেকে মেয়েকে বিয়েকে রাজি করাতে সেই পণ দিতে হয়।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup