Bengal Coach Laxmi Ratan Shukla Feels Team Not Yet Achieved Anything Great Despite Reaching Ranji Final

ইনদওর: প্রত্যাশা ছিলই, হলও তাই। মধ্যপ্রদেশকে ৩০৬ রানের বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে রঞ্জির ফাইনালে (Ranji Trophy Final) নিজেদের জায়গা পাকা করল বাংলা ক্রিকেট দল (Bengal Cricket Team)। ৫৪৮ রানের কার্যত অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৪১ রানেই শেষ হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশ ইনিংস। স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামানিক পাঁচ উইকেট নিয়ে ধস নামান মধ্যপ্রদেশের মিডল অর্ডারে। তবে ফাইনালে পৌঁছলেও, দল এখনও বলার মতো তেমন কিছুই করেনি বলে মনে করছেন বাংলা কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল (Laxmi Ratan Shukla)।

লক্ষ্যে স্থির মনোজ, লক্ষ্মী

ফাইনালে পৌঁছনোর পর বাংলা কোচ বলেন, ‘এখনও আমাদের অনেকটা দূরে যেতে হবে। এখনও দল বলার মতো তেমন কিছুই করেনি, যার জন্য আমরা উচ্ছ্বাসে ভাসব। আমি এটুকুই বলতে পারি যে দলের সকলে বেশ ভাল খেলছে এবং অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary) একদম সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’ অপরদিকে, লক্ষ্মীর দীর্ঘ সময়ের সতীর্থ তথা এ মরসুমে বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি কিন্তু নিজের লক্ষ্যে একেবারে স্থির। তবে সতীর্থদের প্রশংসা করতেও ভোলেননি তিনি।

মনোজ বলেন, ‘দলের অন্দেরর পরিবেশটা খুবই ভাল। খেলোয়াড়রা দারুণ পারফর্ম করছে এবং সব পরিস্থিতিতেই একে অপরের পাশে রয়েছে। দলের সকলেই ফাইনালে পৌঁছতে পেরে নিঃসন্দেহে দারুণ খুশি। তবে সকলের লক্ষ্য স্থির। রঞ্জি ট্রফি জয়টা একটা দারুণ কৃতিত্ব এবং সিএবির পতাকা সকলের উপরে তোলার জন্য আমরা দলের সবাই বদ্ধপরিকর।’

ম্যাচের বিবরণ

চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের প্রশিক্ষণাধীন মধ্যপ্রদেশ দল খেলতে নেমেছিল বাংলার বিরুদ্ধে। গত ম্যাচের পর এই ম্যাচেও বাংলার বোলাররা দাপট দেখালেন। আকাশ দীপ, প্রদীপ্ত প্রামানিকের দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে জয় ছিনিয়ে নিল লক্ষ্মীরতণ শুক্ল। প্রথম ইনিংসে শতরান হাঁকিয়েছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও সুদীপ ঘরামি। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার হয়ে সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন অনুষ্টুপ মজুমদার। যদিও তাঁর আউট নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭৯ রানে অল আউট হয়ে যায় বাংলা। 

৮৮ ওভারে জয়ের জন্য ৫৪৮ টার্গেট ছিল। সেই রান তাড়া করতে নেমে ২৪১ রানে অল আউট হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রদীপ্ত প্রামানিক একাই ৫ উইকেট তুলে নেন। মুকেশ কুমার ২ উইকেট নেন। আকাশ দীপ এই ইনিংসে ১ উইকেট নেন। মোট ৬ উইকেট নেন তিনি। তিনিই ম্যাচের সেরা হন। মধ্যপ্রদেশের হয়ে রজত পতিদার ও যশ দুবে কিছুটা লড়াই করলেও তা কখনওই যথেষ্ট ছিল না।  

আরও পড়ুন: খেতাবি লড়াইয়ে আবারও মুখোমুখি বাংলা-সৌরাষ্ট্র, ইডেনেই বসবে ফাইনালের আসর