আদালতের নির্দেশে গেল চাকরি, মাথায় হাত TMCর প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যার

গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতে ১৯১১ জনের মধ্যে চাকরি গেল বাঁকুড়ার ওন্দার পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূলি সদস্যের। শুক্রবার SSC-র তরফে জালিদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ১৫৪০ নম্বরে রয়েছে পূর্ণিমার নাম। আর চাকরি হারিয়ে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন পূর্ণিমা নন্দী।

প্রায় ৫ বছর ভুলনপুর হাইস্কুলে গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি করেছেন পূর্ণিমাদেবী। ২০১৩ সালে ওন্দার মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তবে ২ বছর পর ইস্তফাও দেন। স্থানীয়দের দাবি, চাকরির ব্যবস্থা হয়ে যেতেই রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন পূর্ণিমা। তাতেও শেষ রক্ষা হল না। আদালতের নির্দেশে গেল চাকরি। তবে পূর্ণিমার পরিবারের একাধিক সদস্য এখনও শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত।

পূর্ণিমা নন্দী সাংবাদিকদের বলেন, আমি নিয়ম মেনেই চাকরি পেয়েছি। শালবনীতে গিয়ে গ্রুপ ডির পরীক্ষা দিয়েছিলাম। তার পর ইন্টারভিউ হয়। কেন আমার চাকরি গেল জানি না। মেয়েকে ভালো করে পড়াশুনো করতে বাঁকুড়ায় পাঠিয়েছিলাম। ওর খরচ কী করে টানব জানি না।

যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার সুবিধা নয়ে চাকরি পেয়েছেন পূর্ণিমা। আদালতের নির্দেশে ওর চাকরি গিয়ে ঠিক হয়েছে। ওর জায়গায় একজন যোগ্য প্রার্থী চাকরি পাবে।