পার্থদা হলে এটা করতেন? পুলিশকে প্রশ্ন নওশাদের, জানতে চাইলেন খেলার স্কোর

ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।সোমবার নওশাদকে ফের বারুইপুর আদালতে তোলা হয়েছিল। আর আদালত চত্বরে এসেই প্রিজন ভ্যান থেকে নামার সময় এক পুলিশ কর্মী তাঁকে হাত ধরে টেনে নামানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনি এনিয়ে দৃশ্যতই অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি পালটা ওই পুলিশকর্মীকে বলেন, পার্থ দা হলে এটা করতে পারতেন? সেই সময়টাতেই তাঁকে কিছুটা বিরক্ত দেখাচ্ছিল। তবে দ্রুত বিষয়টি ম্যানেজ করে ফেলেন নওশাদ। তবে এদিন বাকি সময়টা তিনি আদালতে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিলেন।

প্রসঙ্গত গত ২১ জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলার সভা থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন নওশাদ। তিনি সহ কয়েকজন দলীয় কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপর থেকে জেলেই রয়েছেন তিনি।

তবে আদালত চত্বরে তিনি এদিন একেবারে খোশ মেজাজে ছিলেন। তিনি এদিন সংবাদমাধ্যম ও উপস্থিত কর্মী সমর্থকদের কাছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের ব্যাপারে জানতে চান। তবে কি পারিপার্শ্বিক চাপমুক্ত থাকার জন্য়ই তিনি এভাবে আদালত চত্বরে কর্মীদের কাছে ম্যাচের স্কোর জানতে চাইলেন? আসলে অনেকের মতে, নওশাদ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই প্রতিবার যখনই তিনি আদালতে আসেন তখনই সেখানে কর্মী সমর্থকরাও চলে আসেন। বিচার প্রক্রিয়ায় কী হতে পারে তা নিয়ে বার বারই নানা আলোচনা করছেন নওশাদ অনুগামীরা। তাঁদের মধ্যে উদ্বেগও ক্রমশ বাড়ছে। সেই পরিস্থিতিতে এদিন গোটা পরিবেশকে কার্যত অনেকটাই হালকা করে দিলেন নওশাদ নিজেই। এদিন তিনি আদালতে ঢোকার মুখে স্কোর জানতে চাওয়ায় হতবাক হয়ে যান তাঁর অনুগামীরা।

তবে অন্যদিন আদালত চত্বরে এসে তিনি তৃণমূলের প্রসঙ্গ তুলে তীব্র তোপ দাগতেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামছে। সেকারণেই তাকে আটকে রাখা হচ্ছে। তবে এদিন আদালত চত্বরে তিনি একেবারে তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে আনেন। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?

সূত্রের খবর, এদিন তিনি প্রিজন ভ্যান থেকে নামছিলেন। চারপাশে কর্মী সমর্থকদের ভিড়। তিনি প্রিজনভ্যানের দরজার কাছ থেকেই হাত নাড়ছিলেন। আচমকাই এক পুলিশকর্মী তাঁর হাত ধরে নামাতে যান। আর তখনই তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, পার্থ দা হলে এটা করতে পারতেন? এরপর সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্মীও কিছু বলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু চারপাশের হট্টগোলে চাপা পড়ে যায় সেকথা।