Adi Ganga:আদি গঙ্গা সংস্কারের জন্য সময় বেঁধে দিল পরিবেশ আদালত, চাপ আরও বাড়ল

আদি গঙ্গা সংস্কার নিয়ে নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন অনেকেই। তার মধ্যেই এবার বড় নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় পরিবেশ আদালত। টালি নালা বা আদি গঙ্গা সংস্কারের ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দিল জাতীয় পরিবেশ আদালত। জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এই আদি গঙ্গা সংস্কারের কাজ শেষ করতে হবে। পাশাপাশি দিন নির্দিষ্ট করে দিয়েছে আদালত। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, নমামি গঙ্গে প্রকল্পের আওতায় রয়েছে এই প্রকল্প। ২০২৫ সালের ১৫ অক্টোবর কাজ শেষ করার যাবতীয় রিপোর্ট জাতীয় পরিবেশ আদালতে জমা দিয়েছে। একেবারে লিখিতভাবে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর তারপরই তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এতদিন টালি নালা সংস্কারের ক্ষেত্রে নানা সময় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তোলা হত। নানা অজুহাত দেখিয়ে টালবাহানা করা হত। কিন্তু এবার এনিয়ে কার্যত কড়া নির্দেশ দিল আদালত। প্রসঙ্গত খোদ প্রধানমন্ত্রী এই কাজের সূচনা করেছিলেন।

কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, কলকাতা পুরনিগম, রাজ্য় দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, পরিবেশ দফতর, ন্যাশানাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা সহ এই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্ত সংস্থাকে এনিয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সকলের সঙ্গে সকলকে যোগাযোগ রেখে কাজ করার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে জাতীয় পরিবেশ আদালত যেভাবে একেবারে কাজ শেষ করার রিপোর্ট জমা দেওয়ার দিনক্ষণ স্থির করে দিয়েছে তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এবার কাজে কতটা গতি আসবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কতটা দ্রুততার সঙ্গে এই কাজ শেষ করবেন সেটাই এখন একমাত্র প্রশ্ন।

এদিকে মাস চারেক ধরেই আদি গঙ্গা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় ৪.৭ কিমি এলাকায় কাজ করা হবে। তবে এই আদি গঙ্গা সংস্কার নিয়ে জলঘোলা কিছু কম হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই মামলার আবেদনকারী তথা পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত জানিয়েছিলেন, আদি গঙ্গা নিয়ে লড়াই দীর্ঘদিনের। এবার প্রকল্পের বাস্তবায়ন যাতে ঠিকমতো হয়, তা রাজ্য সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে পরিবেশবিদদের একাংশের মতে ক্রমেই কলকাতার মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছিল আদিগঙ্গা। মজে গিয়েছে গোটা জলপথ। কলুষতায় পূর্ণ গোটা নদী। সেই নদীই এবার জীবন ফিরে পাবে।

তবে ইতিমধ্য়েই এনিয়ে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ইতিমধ্য়েই সংস্কারের কাজ পরিদর্শন করেছেন। এই কাজের জন্য প্রায় ৬৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।