Food Delivery Boy on wheelchair: হুইল চেয়ারে বসেই শহরজুড়ে পৌঁছে দেন খাবার, ভিডিয়োয় কী বললেন যুবক

অফিস টাইম। শহরের ব্যস্ত রাস্তা। মাঝে মাঝেই সিগন্যালে দাঁড়িয়ে পড়ছে গাড়ি। তার মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি হুইল চেয়ার। শহরের রাজপথে এমন হুইল চেয়ারে করে অনেককেই দেখা যায়। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা এভাবেই যাতায়াত করে থাকেন। তবে এইদিন সন্ধ্যায় শহরের রাস্তায় যাকে দেখা গেল, তিনি বিশেষভাবে সক্ষম হলেও অন্যদের থেকে একটু আলাদা। পরনে তাঁর জোম্যাটোর পোশাক। পিঠে খাবার বইবার ব্যাগ। অন্যদের মতো নিজে হুইল চেয়ার চালালেও খাবার ডেলিভারি করতে চলেছেন তিনি! এই ঘটনাই তাজ্জব করে দেয় গোটা নেটদুনিয়াকে।

বাইকে করে এক ব্যক্তি এই দিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই তাঁর চোখে পড়ে এমন দৃশ্য। সঙ্গে সঙ্গে ক্যামেরাবন্দী করে ফেলেন সেই ডেলিভারি বয়কে। সিগন্যালে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় এগিয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথাও বলেন। তাঁকে ক্যামেরার পিছন থেকে জিজ্ঞেস করা হয়, হুইল চেয়ারে বসেই কি সমস্ত ডেলিভারি করেন? উত্তরে ব্যক্তিটি জানান, ‘একদম! এতেই করি।’ এরপর ভিডিয়োগ্রাফার জিজ্ঞেস করেন, ভিডিয়োটি ইন্টারনেটে শেয়ার করতে পারি! তখন মাথা নেড়ে সম্মতি জানান ডেলিভারি বয়টি। ভিডিয়োগ্রাফার রেকর্ড করতে করতে বলেন, ‘অনেকে বলেন কাজ নেই, কাজ নেই। কাজ করার ইচ্ছে থাকলে যেভাবেই হোক কাজ করা যায়।’ এর উত্তরে ব্যক্তিটি মনের জোর থাকতে হবে। তাহলে যা-ই হয়ে যাক, কাজ করতে পারবেন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বুকে সাহস থাকলে জীবনে যেকোনও বাধা পেরিয়ে যাওয়া যায়।

ভিডিয়োটি টুইটারে পোস্ট করেন ভিডিয়োগ্রাফার। তারপরেই ভাইরাল হয়ে যায় ডেলিভারি বয়ের কথা। প্রশংসায় ফেটে পড়েন নেটিজেনরা। বাধাবিপত্তি কাটিয়ে এভাবে কাজ করার জন্য অনেকে স্যালুটও জানান তাঁকে। জোম্যাটোর অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে একটি রিপ্লাই করা হয় ভিডিয়োতে। তাতে একটি জিআইএফ পোস্ট করা হয়। ‘আমাদের হিরো’ বলে গর্ব করতে দেখা যায় সংস্থাকে। এক নেটিজেন ভিডিয়োটির রিপ্লাইয়ে লেখেন, ধন্যবাদ জোম্যাটো এমন মানুষকেও কাজের সুবিধা করে দেওয়ার জন্য। তবে আরেকজন প্রশ্ন তোলেন, আপনারা এই কর্মীকে যথেষ্ট পারিশ্রমিক দিচ্ছেন তো!

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup