Police Musium: আলিপুর জেলে চলে গেল পুলিশ মিউজিয়াম, উদ্বোধন করলেন ফিরহাদ হাকিম

আলিপুর জেল মিউজিয়ামে স্থানান্তরিত হল পুলিশ মিউজিয়াম। শনিবার এই মিউজিয়ামের উদ্বোধন করেন পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এছাড়াও ছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার এবং অন্যান্য আধিকারিকরা। হিডকোর তত্ত্বাবধানে এই পুলিশ মিউজিয়ামটি স্থানান্তরিত করা হয়েছে আলিপুর জেল মিউজিয়ামে। আগে এই মিউজিয়ামের ঠিকানা ছিল আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় রোড।

ফিরহাদ হাকিম এবং বিনীত গোয়েল ছাড়াও উদ্বোধনের সময় ছিলেন হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস সেন।আলিপুর জেলের ৪ নম্বর সেলের ১৪ নম্বর কক্ষে এই মিউজিয়াম স্থান্তরিত করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিপ্লবীদের ব্যবহৃত রিভলভার, বোমা এবং অন্যান্য গোলাবারুদ প্রদর্শনের জন্য এই মিউজিয়ামে রাখা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, ভূপেন্দ্র কিশোর আচার্যের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত ৫ চেম্বারের রিভলভারটি ডি এইচ কিংসফোর্ডকে পাঠানো হয়েছিল। ১৯১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের সত্যেন্দ্র নাথ বোসের ব্যবহৃত রিভলভার, দীনেশ গুপ্তের ব্যবহৃত পিস্তল জনসাধারণের দেখার জন্য প্রদর্শন করা হয়েছে।

জাদুঘরটিতে উল্লেখযোগ্য কেস হিস্ট্রি এবং কিছু বিপ্লবী ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। ১৯০৮ সালে আলিপুর ষড়যন্ত্র, ১৯৩০ সালে চার্লস টেগার্টের উপর প্রচেষ্টা, ১৯১০ সালে ঢাকা ষড়যন্ত্র মামলা এবং ঢাকা অনুশীলন সমিতির বিপ্লবী কার্যক্রম, রাসবিহারী বসুর ষড়যন্ত্র মামলায় জড়িত হওয়ার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। এছাড়া, ১৯৪১ সালে ভারত থেকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর পালিয়ে যাওয়া সংক্রান্ত তথ্য এখানে রয়েছে। পুলিশ যাদুঘরে প্রবেশের জন্য আলাদা কোনও টিকিটের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র সোমবার বন্ধ থাকবে।

ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘পুলিশ মিউজিয়াম আলিপুর জেলে স্থানান্তরিত হয়েছে। বছরের পর বছর, প্রজন্মের পর প্রজন্ম মানুষ, বাচ্চারা আমাদের দেশনেতাদের ইতিহাস জানবেন। আত্মত্যাগের ইতিহাস জানবেন। আর এইভাবে আমাদের বাংলার ইতিহাস বেঁচে থাকবে। আর আগামী প্রজন্ম বলবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম বসু প্রভৃতি স্বাধীনতার সংগ্রামীরা ছিলেন বলে আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে। সে কথা মনে রাখবে আগামী প্রজন্ম।’