ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও চাকরি যাওয়া আটকানো গেল না। অবশেষে নবম দশমের ৬১৮জনের চাকরির সুপারিশ বাতিল করে দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর এসএসসি নিয়োগ বাতিল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছে, ভুল করে নিয়োগ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে এত বড় ভুল হয় কী করে?
কমিশন সাফ জানিয়েছে, ভুল করে নিয়োগ হয়েছিল। অর্থাৎ Erroneously Issued। ভুল করে ইস্যু করা হয়েছিল নিয়োগের আগের তালিকা। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে এসএসসির মতো সংস্থা ভুল করে কীভাবে এত বড় নিয়োগ করতে পারে? তবে কি জেনেবুঝেই এই ভুলটা করেছিল এসএসসি? এই প্রশ্নটা তুলছেন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার থেকেই এই চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এমনকী ওই তালিকায় থাকা শিক্ষকরা যাতে আর স্কুলে যেতে না পারেন সেটাও নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে এসএসসি।
তবে ওএমআর শিটে জালিয়াতির মাধ্যমেই তারা যে চাকরি পেয়েছিলেন সেব্যাপারেও ইঙ্গিত মিলেছে। তবে সব মিলিয়ে ৮০৩জনের বিরুদ্ধে এই জালিয়াতি করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওএমআর শিটে নানা কায়দা করে তারা চাকরিতে ঢুকে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তবে এর পেছনে কোন রাঘব বোয়ালরা কলকাঠি নেড়েছিলেন সেটাও প্রশ্ন। তবে আপাতত চাকরি যাচ্ছে ৬১৮ জনের।
০, ২ পেয়েও তারা গত চারবছর ধরে চাকরি করছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু সবথেকে বড় প্রশ্ন এই কারচুপির নেপথ্যে ঠিক কারা রয়েছে? তাদের নাম কি আদৌ প্রকাশ্য়ে আসবে। তবে এবার চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকরা ঠিক কোন পদক্ষেপ নেন সেটাই দেখার।
সূত্রের খবর, গোটা ঘটনায় ওএমআর শিট আর সার্ভারে থাকা নম্বরে প্রচুর ফারাক ধরা পড়েছে। এই ফারাক দেখে তাজ্জব অনেকেই।
২০১৮-১৯ সালে তারা নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছিলেন। এদিকে ০ পেয়েও তাদের কয়েকজন চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তবে তাদের দেখানো হয়েছে ৫০,৫১, ৫২,৫৩ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে তারা পেয়েছেন ০, ১, ২। কিন্তু কারচুপির জেরে তাদের নম্বর বেড়ে গিয়েছিল। শুভময় ভুঁইয়া নামে এক চাকরিপ্রার্থী এই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেছিলেন। সেই মামলার জেরেই কার্যত চাকরি খোয়ালেন ৬১৮ জন।
এদিকে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু সেখানেও বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, তারা কমিশনের সিদ্ধান্তে কোনও স্থগিতাদেশ দেবে না। তারপরই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।