‘কুখ্যাত’ পার্থর জামিনের আবেদন আবার খারিজ করল আদালত

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন ফের খারিজ করল আদালত। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডির সওয়ালের সামনে ধোপে টিকল না পার্থর আইনজীবীর যুক্তি। ফলে আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই ঠিকানা হল পার্থর।

এদিনের শুনানিতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এদুলজি বলেন, এই দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগ নিয়ে অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তার উল্লেখ কেস ডায়েরিতে রয়েছে। গোটা দুর্নীতির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে রয়েছেন পার্থ। উনি অত্যন্ত প্রভাবশালী। উনি জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিন ইডির আইনজীবী আদালতে বলেন, বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর শিক্ষা ব্যবস্থাকে ১০০ বছর এগিয়ে দিয়েছিলেন। আর কুখ্যাত পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষা ব্যবস্থাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন। পার্থবাবু যে কাজ করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। একজন বরিষ্ঠ নাগরিক হয়ে উনি একদিকে ছোট ছোট ছেলেমেদের অযোগ্য শিক্ষকদের কাছে পড়তে বাধ্য করেছেন। এই ক্ষতি অপূরণীয়। উলটো দিকে যারা পড়াশুনো করে নিজেকে শিক্ষক পদের জন্য যোগ্য করে তুলেছিলেন তাঁদের প্রতি বঞ্চনা করেছেন উনি।

এদিন ইডির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, কুন্তল ঘোষ জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা পার্থর বাড়ি গিয়ে দিয়ে এসেছিলেন কুন্তল।

পালটা পার্থবাবুর আইনজীবী বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৭২ বছর বয়স। তিনি একাধিক শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত। তাছাড়া তিনি এখন আর প্রভাবশালী নন। ইডি যে সব ধারায় তাঁকে অভিযুক্ত করেছে সেই সব ধারা দেওয়ার এক্তিয়ার ইডির নেই। দুপক্ষের সওয়াল শুনে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারক। সন্ধ্যায় রায় ঘোষণা করে ব্যাঙ্কশাল আদালত জানায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন খারিজ করা হচ্ছে।