রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে পার্থ, আদালতে বলল ED

রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতে এমনই জানাল ইডি। এদিন আদালতে নিষ্কৃতির আবেদন করেও প্রত্যাহার করে নেন পার্থর আইনজীবী। রায়দান স্থগিত রেখেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত।

এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তরফে জামিনের আবেদন করে আইনজীবী দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ৭২ বছর বয়স। তাঁর নানা অসুখ রয়েছে। তাছাড়া তিনি এখন আর প্রভাবশালী নন। ইডি তাঁকে এমন সব ধারায় অভিযুক্ত করেছে যার তদন্ত করার অধিকার ইডির নেই। এদিন সেই সব ধারা থেকে পার্থকে নিষ্কৃতি দিতে আদালতে আবেদন জানান তার আইনজীবী। তার পর তা প্রত্যাহারও করে নেন তিনি।

জবাবে ইডির আইনজীবী বলেন, পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যেমন বাংলার শিক্ষাব্যবস্থাকে ১০০ বছর এগিয়ে দিয়েছিলেন তেমন পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ১০০ বছর পিছিয়ে দিয়েছেন। উনি গ্রেফতারির মুহূর্ত থেকে প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করছেন। গ্রেফতারির সময় তিনি বলেছিলেন, জানেন আমি কে? আমি মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়। তাছাড়া আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন উনি।

এদিন পার্থবাবুর আইনজীবী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, আপনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টাকা নিতে দেখেছেন? কেউ দেখেছে? তাহলে কী করে প্রমাণিত হয় যে উনি টাকা নিয়েছেন?