জাজিরায় কয়েক দফায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

শরীয়তপুরের জাজিরার বিলাসপুর ইউনিয়নে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কয়েক দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানান জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বেপারী ও আবদুল জলিল মাতবরের মাঝে দ্বন্দ্ব চলছে। এর ধারাবাহিকতায় সকালে বিলাসপুর ও জাজিরা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মুলাই বেপারী কান্দি হয়ে বুধাইর হাট পর্যন্ত এরপর বুধাইর হাট বাজার থেকে সাবেক এমপি বি এম মোজাম্মেল ভূঁইয়ার বাড়ি পর্যন্ত এবং সবশেষ মহড় খার কান্দির পাশে নদীর পাড়ে সংঘর্ষে কমপক্ষে হাজারখানেক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

সাবেক যুবলীগ নেতা এবং ইউপি নির্বাচনে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল জলিল মাতবর দাবি করেন, নির্বাচনের পর থেকেই আমার সমর্থকদের বাড়িতে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনের সহযোগিতায় বাড়িতে থাকলেও বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়াসহ প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার একইভাবে হামলা চালালে আমার লোকজনও জবাব দিতে বাধ্য হয়।

বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বেপারী দাবি করেন, সকালে হঠাৎ জলিল মাতবরের সমর্থকরা আমার বাড়ি ঘেরাও করে হামলা চালালে আমার লোকজন তাদেরকে প্রতিহত করে এবং আমি তাৎক্ষণিক প্রশাসনকে বিষয়টি জানাই। এ ছাড়া এই ধরনের অপ্রীতিকর পরিবেশ চাই না। মারামারি হলে আমার ন্যূনতম কোনও লাভ থাকলে আমি করতাম। কিন্তু আমার এতে কোনও লাভ নেই, সুতরাং কেন আমি সংঘর্ষে জড়াবো।

জাজিরা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিলাসপুরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বড় ধরনের সংঘর্ষ এড়াতে ২২ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ছয়টি টিয়ারগ্যাস ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। সন্দেহভাজন পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি বিলাসপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচ শতাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জাজিরা থানা পুলিশ ১৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।