Viral Video of BBC IT Survey: ‘সার্ভে’র আগেই আয়কর আধিকারিকের সঙ্গে বচসা বিবিসি কর্মীর, ভাইরাল ভিডিয়ো

আজ টানা দ্বিতীয় দিনের জন্য দিল্লি ও মুম্বইতে অবস্থিত বিবিসির অফিসে সার্ভে চালাচ্ছেন আয়কর আধিকারিকরা। এরই মাঝে এবার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা গিয়েছে এক বিবিসি কর্মী বচসায় জড়িয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসির এক তথ্যচিত্র নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছিল ভারতে। এই আবহে এবার বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের এই হানা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। আর তারই মাঝে এবার প্রকাশ্যে এল এই ভিডিয়ো। যা ক্রমেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে।

ভাইরাল ভিডিয়োটি বিবিসির দিল্লি অফিসের। তাতে দেখা গিয়েছে, এক আয়কর আধিকারিক অফিসে ঢোকার জন্য চাবি চাইছেন। এর বদলে বিবিসির কর্মচারী সেই আধিকারিকের থেকে ওয়ারেন্ট দেখতে চান। এরপর আয়কর আধিকারিক রেগে গিয়ে নিজের পরিচয় দেন এবং সবাইকে তাদের ফোনের থেকে দূরে থাকতে বলেন। সেই সময় এক মহিলা কর্মী আয়কর আধিকারকের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি ভালোভাবে কথা বলুন। চেঁচাবেন না।’ এরপরও সেই সরকারি আধিকারিক রেগে গিয়ে প্রশ্ন করেন যে ১০ মিনিট ধরে কেন গেট খোলা হচ্ছে না।

প্রসঙ্গত, গতকাল বেলার দিকে শুরু হয়েছিল ‘সার্ভে’। রাতভর চলে তা। এরপর আজ দ্বিতীয় দিন ফের একবার বিবিসির অফিসে পৌঁছেছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এই আবহে এবার কর্মচারীদের ইমেল করে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছে বিবিসি কর্তৃপক্ষ। এদিকে সম্প্রচার বিভাগ ছাড়া বাকি সব কর্মীকেই বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেছে বিবিসি। এক ইমেলে কর্মীদের বিবিসির তরফে বলা হয়েছে, তদন্তকারী কর্তাদের সকল প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করুন। বিস্তারিত ভাবে তাদের প্রশ্নের জবাব দিন। আপনার ব্যক্তিগত আয় নিয়ে আপনাকে মুখ খুলতে হবে না। তবে বেতন সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন করা হলে তার জবাব দিন।

অফিসে ঢুকেই বিবিসির সমস্ত সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ জমা করতে বলেন আধিকারিকরা। প্রাথমিক ভাবে সার্ভে নিয়ে মুখ না খুললেও পরে একটি টুইটের মাধ্যমে আয়কর দফতরকে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছিল বিবিসি। পরে গতকাল গভীর রাতে আরও একটি টুইট করে বিবৃতি জারি করে বিবিসি। ব্রিটিশ সংস্থার তরফে বলা হয়, ‘দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসির অফিসে এখনও রয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। অনেক কর্মী তাদের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। অনেক কর্মচারী অফিসেই রয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকদের সাহায্য করার জন্য। এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের কর্মচারীদের যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছি। এদিকে আমাদের সাংবাদিকতা জারি রয়েছে। ভারতে আমাদের দর্শকদের সামনে আমরা খবর পরিবেশন জারি রাখব।’