তদন্ত না এগোলে কী ভাবে অভিযুক্তদের জেলে রাখা যেতে পারে? সিবিআইকে প্রশ্ন আদালতের

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের আদালতের প্রশ্নের মুখে সিবিআই। হেফাজতের মেয়াদ শেষে বৃহস্পতিবার ফের পার্থ – মানিক – কল্যাণময়সহ ৭ জনকে আদালতে পেশ করা হয়। তখনই আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিক।

এদিন আদালতে জামিনের আবেদন করেন অভিযুক্তরা। সেই আবেদনের শুনানিতে বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে প্রশ্ন করেন, তদন্তে কী অগ্রগত হয়েছে? নতুন কোনও তথ্য বা নথি উদ্ধার হয়েছে কি? কেন অভিযুক্তদের ১৬৪ ধারায় বয়ান রেকর্ড করায়নি সিবিআই? তদন্তে অগ্রগতি না হলে এভাবে অভিযুক্তদের আটকে রাখা যায় না। এব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ রয়েছে।

জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই দুর্নীতি করা হয়েছে। তাই সূত্র পেতে সময় লাগছে। তাছাড়া অভিযুক্তরা গ্রেফতারির পরেও তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। কী ভাবে OMR শিটে কারচুপি হবে, কোন OMR শিট কার কাছে যাবে সব ছিল পূর্বপরিকল্পিত।

শুনানি শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেন, তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে যে সময় দেওয়া রয়েছে তা অনেকদিন আগেই পার করেছে সিবিআই। তাই এখনও অভিযুক্তদের আটকে রাখার কোনও মানে নেই।