৭ মাস বসে মাইনে তুলছেন ক্লাস ৪এর ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষক

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর মাকে ফোন করে মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার পর থেকে তাঁকে স্কুলে যেতে বারণ করে দিয়েছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক। অভিযোগ, তার পর থেকে ৭ মাস বসে বসে বেতন পাচ্ছেন পরিমল কুমার বাইন (৫৭) নামে ওই । ঘটনা নদিয়ার রানাঘাটের।

২০১৩ সালে রানাঘাটের চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন পরিমল। সেখেনে স্কুলের দিদিমণি ও মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে তাঁকে সরিষাডাঙা প্রাথমিক স্কুলে বদলি করে দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর। ২০২১ সালে ফের চিনাপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হন পরিমল।

অভিযোগ ২০২২ সালের জুনে স্কুলের এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর মাকে ফোন করে ছাত্রীকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। এই ঘটনায় স্কুলের শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়ায়। পরিমলের বদলির দাবিতে সরব হন সবাই। চাপের মুখে ওই বছর ৯ জুলাই তাঁকে স্কুলে যেতে বারণ করে দেন DI.

সেই থেকে রোজ রানাঘাট ১ নম্বর চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতের গিয়ে সই করে হাজিরা দেন। এভাবে গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতি মাসের বেতন পেয়েছেন তিনি।

জ্ঞানপাপী পরিমল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘বসে বসে বেতন নিতে ভালো লাগে না। যাদের বলেছিলাম, তারা বলেছে আমি স্কুলে গেলে আপত্তি নেই। কিন্তু DI সাহেব অনুমতি দিচ্ছেন না।’

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ওনার স্কুলে আসায় আমার আপত্তি আছে। উনি সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ নন। উনি স্কুলে এলে অভিভাবকরা কোন ভরসায় ছেলে – মেয়েদের স্কুলে পাঠাবেন?’