Raj Bhavan: রাজভবনে ফোন করে অশ্লীল গালিগালাজ, মুখ্যমন্ত্রী–রাজ্যপাল সম্পর্কে কটূ মন্তব্য

সম্প্রতি রাজভবনে ফোন করে এক ব্যক্তি রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অশ্লীল মন্তব্য করছে বলে অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ পর্যন্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কে এই কাজ করছে?‌ তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ওই ব্যক্তি নিজের পরিচয় গোপন করে গালিগালাজ করছে ফোন করে। ফলে রাজভবনের ফোন তোলা এখন আতঙ্কের হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যপালের হাতেখড়ির পর থেকে এই ঘটনা ঘটে চলেছে। রাজভবনের অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় কেস দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

এদিকে আজ, বুধবার বিধানসভায় ধরা পড়ল ভুয়ো বিধায়ক। তিনি নিজেকে প্রথমে হাওড়ার শিবপুরের বিধায়ক মনোজ তিওয়ারির পরিচয় (আসল নাম গজানন শর্মা) দিয়ে বিধানসভার লবিতে ঢোকেন। তাঁকে পাকড়াও করে হেয়ার স্ট্রিট থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিধানসভার লবিতে ভুয়ো বিধায়ক ধরা পড়ায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। পুলিশের হাতে ধরা পড়া ওই ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমাকে রাজ্যপাল আনন্দ বোস পাঠিয়েছেন। বিধানসভায় ঢোকার অনুমতি রয়েছে আমার। আপনারা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করুন।’ এই ঘটনার সঙ্গে রাজভবনে ফোন করার ঘটনার যোগসূত্র খুঁজছে পুলিশ।

পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে?‌ পুলিশ সূত্রে খবর, গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাজভবনের অফিসে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। সেটি রিসিভ করেন সেখানকার এক কর্মী। অপরিচিত ওই ব্যক্তি রাজ্যপালকে ফোন দিতে বলে। তাঁর সঙ্গে কথা বলবে বলে জানায়। যদিও নিজের পরিচয় গোপন রাখে। তখন রাজ্যপালের অফিস থেকে বলা হয় এভাবে রাজ্যপালকে ফোন দেওয়া যায় না। তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই ব্যক্তি।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ রাজভবন থেকে পুলিশকে অভিযোগ জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তি রাজ্যপাল সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর নামেও কটূ মন্তব্য করেন। আর অশ্লীল মন্তব্য করে গালিগালাজ করতে থাকে। সেসব কথা শেষ হলে ফোনটি কেটে দেয় অভিযুক্ত। পুলিশ তদন্তে নেমে যে নম্বর থেকে ফোনটি এসেছিল, তার সূত্র পেয়েছে। সিমটি তোলা হয়েছে এক যুবকের নামে। তার ঠিকানা জোগাড় করা হয়। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অশ্লীল শব্দ ব্যবহার–সহ একাধিক ধারায় কেস দায়ের করা হয়েছে। এখন ওই ব্যক্তির খোঁজ করছে পুলিশ।