Gold: বেলঘরিয়া থেকে ফের বিপুল সোনা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ, পাচারে মহারাষ্ট্র যোগ!

বেলঘরিয়া থেকে উদ্ধার হল বিপুল সোনা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে অভিযানে নামে পুলিশ। এরপর বেলঘরিয়ার সলপথ বাগান এলাকায় পুলিশ তল্লাশি চালায়। সেখান থেকেই বাজেয়াপ্ত করা হয় ১৮টি সোনার বার। এদিকে এই ঘটনায় এবার মহারাষ্ট্রের দুই বাসিন্দার নামও উঠে আসছে। এবার প্রশ্ন বেলঘরিয়ায় এত সোনা এল কোথা থেকে?

পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তার মধ্যে মহারাষ্ট্রের দুজন বাসিন্দা রয়েছে। তাদের নাম নানাথ মাশাল ও প্রবীন ছাড়ান। তাদের পাশাপাশি নদিয়ার বাসিন্দা অজয় ঘোষ ও মঙ্গল হালদারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এদের কাছে এই বিপুল পরিমাণ সোনা এল কীভাবে? পুলিশ ওজন করে দেখেছে যে সোনার বারগুলির মোট ওজন প্রায় আড়াই কেজি। এদিকে কেন এরা বেলঘরিয়ায় জড়ো হয়েছিল তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সম্ভবত পাচার করার জন্য ওই সোনার বারগুলিকে জড়ো করা হয়েছিল। হয়তো সেগুলি হাতবদল করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই পর্দাফাঁস করে দিল পুলিশ।

তবে আন্তঃরাজ্য সোনা পাচার চক্র এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। কোনও সোনার দোকানে চুরি ডাকাতির সঙ্গে এরা যুক্ত কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।

তবে প্রশ্ন উঠছে তবে কি বেলঘরিয়াকে সোনা পাচারের করিডর হিসাবে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা? এনিয়ে পুলিশ ইতিমধ্যে খোঁজখবর করছে। আরও কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।

তবে এর আগেও বেলঘরিয়ায় সোনা উদ্ধারের ঘটনা হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে প্রায় ১১ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। একটি গাড়িতে চাপিয়ে সেই সোনা পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেই সোনা ধরে ফেলেছিল পুলিশ। সেই সময় দাবি করা হয়েছিল সেই সোনার মূল্য প্রায় ৫৫ কোটি টাকা। সেই সময় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর এনিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। ফের সেই বেলঘরিয়া থেকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ বিপুল সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে গতবার যে পরিমাণ সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল তার তুলনায় অবশ্য এবার অতটা বেশি সোনা বাজেয়াপ্ত হয়নি। তবুও এই সোনা কীভাবে আসছে সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।