IT Survey in BBC: বিবিসির অফিসে সমীক্ষায় মিলেছে বেনিয়ম, বিবৃতি IT দফতরের

বিবিসির অফিসে সমীক্ষা অভিযান চালিয়েছিল আয়কর দফতর। তল্লাশি নয়, সমীক্ষা এমনটাই উল্লেখ করেছে তারা।গত তিনদিন ধরে এই সমীক্ষা চলে। এবার এনিয়ে প্রেস রিলিজ জারি করল তারা। সেখানে ঠিক কী লেখা আছে?

সেখানে বিবিসির নাম না করে আয়কর দফতরের তরফে লেখা রয়েছে, তাদের দিল্লি ও মুম্বই অফিসে সমীক্ষা করা হয়েছিল। এই গ্রুপটি ইংরেজি, হিন্দি সহ নানা ভারতীয় ভাষায় কনটেন্ট তৈরি করে। বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত কাজও করে।

এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ইংরেজি ছাড়াও অন্য ভাষায় কনটেন্ট করলেও যে আয় বা লাভ দেখানো হয় তা যে ধরনের কাজ করা হয় তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সমীক্ষার সময় দেখা গিয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে কর দেয়নি বিদেশি সংস্থা। ভারতে তাদের আয় তারা যথাযথ প্রকাশ করেনি।

কর সংক্রান্ত এমন নানা ধরনের অসামঞ্জস্য়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে একাধিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও কিছু গরমিল পাওয়া গিয়েছে।

কর্মীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টেটমেন্টও পাওয়া গিয়েছে।তবে পরবর্তীতে তা আরও খতিয়ে দেখা হবে। একাধিক চুক্তির ক্ষেত্রে অস্বচ্ছতা পাওয়া গিয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

এর সঙ্গেই আয়কর দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই সমীক্ষা চালানো হলেও মিডিয়ার রোজকার যে কাজ তাতে কোনওভাবে বাধা দেওয়া হয়নি। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে উল্লেখ করা হয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে কর দেওয়া হয়নি। তার সঙ্গেই উল্লেখ করা হয়েছে, যে আয়তনের কাজ করা হয় সেই কাজের অনুপাতে আয় দেখানো হয়নি।

অন্যদিকে আয়কর দফতর জানিয়েছে এই সমীক্ষার মাধ্যমে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি মিলেছে। সেই নথির ভিত্তিতেই এই বিদেশি সংবাদ সংস্থার আয়কর সংক্রান্ত কিছু গরমিল পাওয়া গিয়েছে।

বিবিসির অফিসে এই আয়কর অভিযানকে কেন্দ্র করে তুমুল শোরগোল তুলেছিলেন বিরোধীরা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সুর চড়িয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, মিডিয়া বলে আর কিছু থাকবে না। এদিকে বিবিসির তরফে বলা হয়েছিল তারা সবরকম সহযোগিতা চালাচ্ছেন। এদিকে বিবিসির দফতরে এই সার্ভে নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। তাদের দাবি প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে তথ্য়চিত্র করার জেরেই এই অভিযান।

প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগেই ২০০২ গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে দুই ভাগে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল বিবিসি। ভারত সরকার সেই তথ্যচিত্রটিকে ইউটিউব এবং টুইটারে ব্লক করেছিল। এই আবহে বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের এই সার্ভে নিয়ে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসি-র দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। অফিসে ঢুকেই বিবিসির সমস্ত সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ জমা করতে বলেন আধিকারিকরা। প্রাথমিক ভাবে সার্ভে নিয়ে মুখ না খুললেও পরে একটি টুইটের মাধ্যমে আয়কর দফতরকে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছিল বিবিসি।