তাইওয়ানে পেন্টাগনের শীর্ষ কর্মকর্তা, আবারও উত্তেজনার শঙ্কা

চীনে নিয়োজিত পেন্টাগনের শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা মাইকেল চেজ বিতর্কিত দ্বীপ তাইওয়ানে সফর করেছেন। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে দুটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে। সূত্র আরও জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার শঙ্কা রয়েছে।

উপ-সহকারী মন্ত্রী মাইকেল চেজের সফর প্রসঙ্গে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি কেউ। তার গোপন সফর নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ হয় ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেন্টাগনের এক মুখপাত্র বলেন, ‘নির্দিষ্ট অপারেশন সম্পর্কে আমাদের কোনও মন্তব্য নেই.. তবে আমি এ বিষয়টি স্পষ্ট করবো যে তাইওয়ানের প্রতি আমাদের সমর্থন এবং চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আছি।’

এ নিয়ে পেন্টাগনে আরও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তার আগে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কু চেং বলেছিলেন, ‘এই সফর সম্পর্কে আমি স্পষ্ট নই। বিস্তারিত ব্যাখ্যা করতে পারবো না এখনই। যতক্ষণ না পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনও বিজ্ঞপ্তি না পাই।’  

২০১৯ সালের পর তাইওয়ানে সফর করা কোনও মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা হলেন মাইকেল চেজ। গত বছর বেইজিংয়ের হুমকি উপেক্ষা করে বিতর্কিত দ্বীপ তাইওয়ানে সফর করেন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ওই সফরকে কেন্দ্র করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পেলোসির সফরের প্রতিবাদে তাইওয়ানের চারপাশে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় চীনা সামরিক বাহিনী।

উল্লেখ্য, তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে চীন। সুতরাং পশ্চিমা কর্মকর্তাদের তাইওয়ানে আসা-যাওয়া মেনে নিতে পারে না শি জিনপিং সরকার। অন্যদিকে তাইওয়ান নিজেদের আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে আসছে। উভয় দেশেই একে অপরের ভূখণ্ডের মালিকানা দাবি করে আসায় সমস্যার শুরু। যা কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের হুমকি সৃষ্টি করেছে।