সাহিল ও তার পরিবারের চার সদস্যসহ জড়িত ৫

দিল্লিতে লিভ-ইন পার্টনারের হাতে তরুণী খুন এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় ঘটনা। গত বছরের মে মাসে শ্রদ্ধা ওয়াকার নামে এক তরুণী তার লাইভ-ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়াল্লার হাতে খুন হন। হত্যার পর শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে একটি ফ্রিজে রেখেছিলেন আফতাব। পরে সুযোগ বুঝে টুকরোগুলো পাশের জঙ্গলে ফেলে আসতেন আফতাব।

গত মঙ্গলবার যখন ভারতে অনেকেই ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপন করছিলেন, তখন পুলিশ নিকি যাদবের মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রেমিক সাহিল গেহলটের বাবার পাশাপাশি পুলিশ তার পরিবারের আরও তিন সদস্য এবং এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেছে। সাহিলের পরিবার ও তার বন্ধু হত্যার পরিকল্পনা করতে সাহায্য করেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তা রবিন্দর যাদব বলেন, ‘দিল্লি পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। সাহিল গেহলটের বাবাকে হত্যার পরিকল্পনায় সাহায্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, সাহিল-নিকি ২০২০ সালের অক্টোবরে নয়ডা মন্দিরে বিয়ে করেছিলেন। পুলিশ বলছে, সাহিলের পরিবার সম্পর্কটি মেনে নেয়নি। তাই তারা অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সাহিলের বিয়ে ঠিক করে ফেলে।

 

 

সাহেলের বাগদানের বিষয়টি নিকি একদমই জানতেন না। পুলিশ জানায়, বিয়ের একদিন আগে নিকি তা জানতে পারেন।

দিল্লি পুলিশ জানায়, ৯ ফেব্রুয়ারি সিসিটিভি ফুটেজে শেষবার নিকি যাদবকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে তার ভাড়া বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়। এ সময় নিকি একা ছিলেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর ফার্মা গ্র্যাজুয়েট সাহিল গেহলট তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

পুলিশকে সাহিল জানায়, অন্য জায়গায় তার বিয়ে নিয়ে নিকির সঙ্গে ভীষণ ঝগড়া হয়েছিল। নিকির বাড়ির কাছেই সেদিন একটি গাড়িতে তাদের ৩ ঘণ্টা ধরে বাগবিতণ্ডা হয়।   

এক পর্যায়ে চার্জিং ক্যাবল পেঁচিয়ে নিকিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সাহিল। পরে আতঙ্কিত হয়ে সাহিল তার পারিবারিক ধাবার ফ্রিজারে মরদেহ লুকিয়ে ফেলে। সূত্র: এনডিটিভি