RBI Rupees: খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে চুরি টাকার বান্ডিল, কেমন করে চোর ধরল কলকাতা পুলিশ?‌

খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) কলকাতা অফিস থেকে চুরি গেল টাকার বান্ডিল। এই খবর জানতে পেরে ব্যাঙ্ক কর্তাদের মাথায় হাত পড়ে যায়। প্রশ্ন উঠে যায়, নিরাপত্তা এখানে কি ঢিলেঢালা?‌ না হলে এত বড় ব্যাঙ্ক থেকে টাকার বান্ডিল চুরি হয়ে যায!‌ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে থানায় অভিযোগ দায়ের করে আরবিআই কর্তৃপক্ষ। এক লক্ষ টাকা থাকা বান্ডিল আরবিআই থেকে হাত–সাফাই করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শোরগোল পড়ে যায়। এমন বাটপাড়ি আগে কখনও শোনা যায়নি।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ লালবাজার সূত্রে খবর, নোটের বান্ডিল খোয়া যাওয়ায় চাপে পড়ে যায় দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কের কলকাতা শাখা। তখন আরবিআইয়ের পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে অভিযোগে জানানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, তাদের এক লক্ষ টাকার নোংরা এবং খারাপ নোট চুরি হয়ে গিয়েছে। ৫০ টাকার নোটগুলি নষ্ট করার জন্য ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছিল। আর ৭ ফেব্রুয়ারি বিবাদী বাগের আরবিআই অফিস থেকে ওই টাকা উধাও হয়েছে। তবে আরবিআই কর্তৃপক্ষ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেছেন। সেখানে তাঁদের সন্দেহ হয় কর্মী শঙ্কর উপর। তবে বৃহস্পতিবার পুলিশ তদন্তে নামে।

কেমন করে চোর ধরল পুলিশ?‌ সেই সিসিটিভির ফুটেজ দেখেন পুলিশ অফিসাররা। আর বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে চুরি যাওয়া টাকার অর্ধেকটা উদ্ধার করেছে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম শঙ্কর সরোজ। বাড়ি হুগলির চণ্ডীতলায়। শঙ্কর আরবিআইয়ের ঠিকা কর্মী হিসাবে কাজ করে। শঙ্করকে গ্রেফতার করে শুক্রবার আদালতে তোলা হয়। বিচারক পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তবে আরবিআই কঠোর নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কী করে চুরি হল? সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, নোংরা এবং নষ্ট টাকাগুলি আরবিআইয়ের ভিতরে লোহার ট্রাঙ্কে রাখা থাকে। আর সেটাই সরাতে গিয়ে শঙ্কর টের পায় ভিতরে টাকা আছে। তখন সে চারদিক দেখে ট্রাঙ্কটি খোলে। আর ৫০ টাকার দু’টি বান্ডিল মিলিয়ে এক লক্ষ টাকা আছে দেখতে পায়। এমনকী সেটা সেখানে গোনে শঙ্কর। গোটা বিষয়টি নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে করা হয়। সিসিটিভি না থাকলে ধরা পড়ত না শঙ্কর। শুধু তার মাথায় ক্যামেরার কথা ছিল না। আর সেটাকে হাতিয়ার করেই গ্রেফতার করা হয় শঙ্করকে।