Student suicide in Kasba: বিজ্ঞানের বই খুঁজে পায়নি পড়ুয়া, মায়ের বকুনি খেয়ে আত্মঘাতী ছেলে

টিউশন শেষে বাড়ি ফিরে পড়তে বসেছিল ছেলে। কিন্তু বিজ্ঞান বই খুঁজে না পাওয়ায় বকাবকি করেছিলেন মা। সেই অভিমানে আত্মঘাতী হল ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কসবার বাড়িতে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ওই পড়ুয়া দক্ষিণ কলকাতার একটি নাম করা ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের ছাত্র। আগামী সপ্তাহ থেকে স্কুলে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তারই প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই পড়ুয়া। তার আগে এমন কাণ্ডে শোকের ছায়া নেমেছে পরিবারে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৮ টার দিকে মা বকাবকি করেছিলেন। এরপরেই নিজের ঘরে গিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় ছাত্র। অনেক ডাকাডাকির পরেও দরজা খোলেনি। মা বেশ কয়েকবার দরজায় ধাক্কা দিলেও কোনও উত্তর পাননি। শেষে প্রতিবেশীরা এসে ঘরের দরজা ভাঙালে দেখতে পান ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে ওই পড়ুয়া। তখনই তাকে উদ্ধার করে রুবি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোর ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবার কেব্‌ল সংযোগের ব্যবসা। পরিবারের এক সদস্য জানান, মায়ের বকুনি খেয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় ওই কিশোর। বহু ডেকেও সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয় মায়ের। তিনি দরজা ফাঁক করে ছেলের নিথর দেহ দেখেন।

শিশুকিশোরদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা যেভাবে বেড়েছে তার জন্য করোনা অতিমারিকেই দায়ি করছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাদের বক্তব্য, অতিমারি চলাকালীন দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল। যার ফলে শিশুদের মধ্যে মানসিক অবসাদ বেড়েছে। শিশুদের মধ্যে সহনশীলতার মাত্রা অনেকটাই কমে গিয়েছে। ফলে অল্পতেই তারা চরম পদক্ষেপ করছে। এই অবস্থায় শিশুরা যাতে এই ধরনের কোনও কাণ্ড না ঘটায় তার জন্য আলাদা ক্লাসের প্রয়োজন রয়েছে বলে তারা মনে করছেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও এই ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup