Taliban Government rule: আফগানিস্তানে নিষিদ্ধ জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি, বাড়ুক জনসংখ্যা! কেন চাইছে তালিবানরা

জন্মনিয়ন্ত্রণের ওষুধ আর বিক্রি করা যাবে না। এমনটাই নির্দেশ পান এক ওষুধের দোকানের মালিক। বেচলে কী হতে পারে? উত্তর খুব সহজ। মৃত্যু। দোকানটা কাবুলে আর নির্দেশদাতা এক তালিবানি যোদ্ধা। আফগানিস্তানে তালিবানি সরকার প্রতিষ্ঠার পর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে সে দেশের জনসাধারণের উপর।‌ এবারে‌ নয়া নির্দেশ জারি করল আফগানিস্তানের তালিবানি সরকার। আফগানিস্তানের দুই প্রধান শহরে জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হল।‌ নিষেধ আমান্য করলে তালিবানি শাসনে কী শাস্তি দেওয়া হয়, তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই।

সংবাদমাধ্যম গার্জিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ি বিক্রি বন্ধ করার কারণ হল জনসংখ্যা বৃদ্ধি। শুধু তাই নয়, এমন বড়ি বিক্রি করার পিছনে পশ্চিমী ষড়যন্ত্র আছে বলেও মনে করছে তালিবানি সরকার। মুসলিম জনসংখ্যা কমানোর ষড়যন্ত্র করছে পশ্চিমী বিশ্ব। সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।

কাবুল ও মজর-ই-শরিফের ওষুধের দোকানদাররা এদিন সংবাদমাধ্যম গার্জিয়ানকে জানায়, তারা আগামী মাসের জন্য নতুন করে কোনও জন্মনিয়ন্ত্রক বড়ির অর্ডার দেননি। শুধু তাই নয়, চলতি মাসে দোকানে থাকা ওই ওষুধও আর বিক্রি করা যাবে না বলেই তাদের ধারণা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দোকানে এসে শাসিয়ে গিয়েছে‌ তালিবানি যোদ্ধারা। দোকানের তাক থেকে ওই ওষুধ সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। এছাড়াও কাবুলের প্রতিটি দোকানে নিয়ম করে টহল দিচ্ছে তালিবানি যোদ্ধা। প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, প্রসবে সাহায্যকারী মহিলাদের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছে এই নির্দেশ। এক দাঁইয়ের কথা অনুযায়ী, তাকেও সতর্ক করে গিয়েছে তালিবানি যোদ্ধা। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের প্রচার যেন আর না করেন তিনি। একবার নয়, তালিবানি যোদ্ধারা বেশ কয়েকবার সাবধান করেছে তাকে।

তালিবানি যোদ্ধারাও এই নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কাবুলে টহলরত তালিবানিদের কথায়, জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি ব্যবহার করা একটি পশ্চিমী ষড়যন্ত্র। এর মাধ্যমে মুসলিম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে চায় পশ্চিমী বিশ্ব। সেই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup