বাসন্তী রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের জন্য কাটা পড়ল বহু গাছ, বৃক্ষরোপন না করার অভিযোগ

সম্প্রসারণ করা হচ্ছে বাসন্তী রাজ্য সড়ক। এরফলে বহু বাড়িঘর, দোকান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ভাঙা পড়েছে। তাছাড়া ২৮ কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য এখনও পর্যন্ত কাটা পড়েছে রাস্তার দুপাশে থাকা বহু গাছ। যার মধ্যে রয়েছে বহু প্রাচীন গাছ। কিন্তু, তার পরিবর্তে নতুন করে গাছ লাগানো হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে সুপ্রিম কোর্ট যশোর রোডে গাছ কাটার ওপর স্থগিতাদেশ খারিজ করে দিয়েছিল। তবে সে ক্ষেত্রে গাছ কাটা হলে একটির পরিবর্তে নতুন করে পাঁচটি গাছ লাগানো হবে বলে রাজ্যের তরফে জানানো হয়। তাহলে বাসন্তী রাজ্য সড়কের ক্ষেত্রে কেন নতুন করে গাছ লাগানো হচ্ছে না তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশবিদরা। তাদের অভিযোগ, যশোর রোড সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি গাছ কাটার জন্য পাঁচটি করে নতুন গাছ লাগানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। করা হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অধিকাংশ গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

বাসন্তী রাজ্য সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলছে গত দু’বছর ধরে। তবে এখনও পর্যন্ত গাছ কাটার জন্য নতুন করে গাছ লাগানো হয়নি। প্রসঙ্গত, কলকাতার সায়েন্সসিটি থেকে বাসন্তীর গদখালি পর্যন্ত এই রাস্তা বিস্তৃত। এই রাস্তার ২৮ কিলোমিটার চওড়া করা হচ্ছে বাসন্তীর সরবেড়িয়া বাজার থেকে গদখালি পর্যন্ত। এই রাস্তার দুপাশে মেহগনি, সোনাঝুরি, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া গাছ ছিল। সব থেকে বেশি গাছ কাটা পড়েছে মসজিদবাটি পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই রাস্তার দু’পাশে গাছগুলি এলাকার সৌন্দর্য বাড়িয়েছিল। তাছাড়া, পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ ছিল এই গাছগুলি। তবে রাস্তা চওড়া করতে গিয়ে সেই সমস্ত গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এখন এলাকা মরুভূমির মতো হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া অনেক পাখিও দেখা যেত। এখন সেই সমস্ত পাখিও আর দেখা যায় না।

পরিবেশবিদদের বক্তব্য, গাছ কাটার ফলে এমনিতেই বৃষ্টি তুলনামূলকভাবে কমে গিয়েছে। যার ফলে ভূগর্ভস্থ জলের সংকট দেখা দিয়েছে। এরকমভাবে গাছ কাটা হলে আগামী দিনে সমস্যা আরও বাড়বে। তাই পরিবেশকে বাঁচাতে হলে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বেশি বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। তবেই পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে। পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত এ বিষয়ে সরকারকে গাছ লাগানোর আর্জি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দিনের পর দিন এভাবে সবুজ ধ্বংস হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। এলাকার উন্নয়নের জন্য রাস্তা দরকার ঠিকই তবে তার বিকল্প হিসেবে গাছ লাগানোর প্রয়োজন। তা না হলে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল জানিয়েছেন, রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য বহু গাছ কাটা হয়েছে। কাজ শেষ হলেই দ্রুত রাস্তার দুপাশে নতুন করে গাছ লাগানো হবে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup