বিশ্বভারতীর ৭ পড়ুয়ার সাসপেনশন তুলে নিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট

গত ২৩ নভেম্বর একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে উপাচার্যকে ঘেরাও করেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। অভিযোগ, আন্দোলন চলাকালীন বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের বচসা এবং হাতাহাতিও হয়। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঢিল ছোড়ারও অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ৭ ছাত্রকে আগামী ১ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ওই পড়ুয়াদের ওপর থেকে সাসপেনশন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিল।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ গত ১২ জানুয়ারি ওই পড়ুয়াদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলেছিল। তবে ক্ষমা চাননি পড়ুয়ারা। ফল স্বরূপ ১৬ জানুয়ারি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পড়ুয়ারা।আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্তি দিয়ে বলেন, বিশ্বভারতী আইন ১৯৫১ অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ছাত্রকে সাময়িক বরখাস্ত করার করার কোনও নিয়ম নেই। সেই যুক্তি মেনে নিয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দ পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কোনও ছাত্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে কোনও ছাত্রকে এভাবে বরখাস্ত করা যায় না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চ্যাটার্জি অবশ্য এনিয়ে কোনও যুক্তি দিতে পারেননি। উল্লেখ্য, শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পড়ুয়াদের বরখাস্ত করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বিচারপতি চন্দ বলেন, ছাত্ররা ক্ষমা চায়নি বলে তাদের বিরুদ্ধে এরকম ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে না। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগে এক অধ্যাপককেও বরখাস্ত করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত অধ্যাপকের নাম সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। এর আগেও তাঁকে বরখাস্ত করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত ২৩ নভেম্বর উত্তপ্ত হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে ঘেরাও করে তাঁকে মারধর করা হয়। অভিযোগ, সেই সময় অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন উপাচার্য।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4au