মমতার জমানায় বাংলায় শিক্ষা অশিক্ষায় পর্যবসিত হয়েছে, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী

পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। শনিবার শিবরাত্রিতে ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দিতে এসে তিনি এই নিয়ে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, মমতার সরকার এরাজ্যে শিক্ষাকে অশিক্ষায় পর্যবসিত করেছে।

এদিন ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘তৃণমূল সরকারের সব থেকে বড় অপরাধ হল, সরস্বতীর এই ভূমি বাংলায় শিক্ষাক্ষেত্রে সব রকমের অব্যবস্থাকে প্রশ্রয় দেওয়া। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, মিড ডে মিলে দুর্নীতি, শিশুদের বই ও পোশাকের টাকা নিয়ে দুর্নীতি। এরা শিক্ষাকে শিক্ষা মনে করে না। তোলাবাজি, কাটমানি আদায়ের একটা রাস্তা বলে মনে করে। এদের দলের বড় বড় নেতা জেলে আছে। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। সব কিছু বাংলার মানুষ দেখেছে। মমতা দিদির রাজত্বে শিক্ষা অশিক্ষায় পরিণত হয়েছে’।

বলে রাখি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস ও বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড পার্থ চট্টোাপধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। এর মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতার মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি নগদ উদ্ধার হয়েছে। মমতার পরামর্শে গঠিত SSC-র উপদেষ্টা কমিটির প্রায় সমস্ত সদস্যও জেলবন্দি। তার ওপর শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম দালাল চন্দন মণ্ডল। যার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন বাগদার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক উপেন বিশ্বাস।

যদিও তৃণমূলের দাবি এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে দলের যোগ নেই। প্রশ্ন উঠছে নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূলের যোগ না থাকলে অবৈধভাবে নিযুক্তদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে আপত্তি করছেন কেন মুখ্যমন্ত্রী?