Purba Bardhaman school: গ্ৰুপ ডি কর্মীর অভাব, স্কুলের ঘণ্টা বাজানো-সহ যাবতীয় কাজ করেন শিক্ষকরাই!

নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর নিয়োগ বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে বহু স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মীর শূন্যতা তৈরি হয়েছে। সাধারণত গ্রুপ ডি কর্মীরা স্কুলে যে সমস্ত কাজ করে থাকেন সেই সমস্ত কাজে সমস্যায় পড়ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষকরা। যার ফলে বাধ্য হয়েই সেই সমস্ত কাজ করতে হচ্ছে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের। চা তৈরি করা থেকে শুরু করে খাতাপত্র ঠিক করা, এমনকী ঘণ্টা বাজানোর কাজও করতে হচ্ছে শিক্ষক শিক্ষিকাদেরই। কোনও কোনও সময় আবার প্রধানশিক্ষককেও সেই ঘণ্টা বাজাতে হচ্ছে। এমনই ছবি দেখা গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ২ নম্বর ব্লকের পাহাড় হাঁটি গান্ডে এলাকার ভোলানাথ বিদ্যাপিঠ হাইস্কুলে।

এ নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছেন ভোলানাথ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক শিক্ষিকারা। জানা গিয়েছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়ে দুজন গ্ৰুপ ডি কর্মী থাকা দরকার। ওই স্কুলেও দুজন গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন। তার মধ্যে গত দু’বছর আগে অবসর নেন একজন। ফলে ওই স্কুলে একজন গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন। তারপর আর নিয়োগ হয়নি। এবার আদালতের নির্দেশে তাঁর চাকরি বাতিল হয়েছে। ফলে তিনি আর বিদ্যালয়ে আসছেন না। এতে যথেষ্ট সমস্যার তৈরি হয়েছে বিদ্যালয়ে। বেজায় সমস্যায় পড়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। পঠন পাঠনের বাইরে বিদ্যালয়ের বহু কাজ এখন শিক্ষক শিক্ষিকাদেরই সামলাতে হচ্ছে।

ভোলানাথ হাই স্কুলের প্রধানশিক্ষক স্বরূপ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের স্কুলে দুজন গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন। কিন্তু, তাদের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। যার ফলে এখন সমস্ত কাজ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরই করতে হচ্ছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে জল আনা, চা তৈরি করা, স্কুলের ঘণ্টা বাজানো, এমনকী স্কুল শেষে ও শুরু হওয়ার আগে তালা বন্ধ এবং তালা খোলার কাজও শিক্ষক শিক্ষিকাদের করতে হচ্ছে।’ মৌসুমী ঘোষ নামে এক শিক্ষিকাও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, ‘আমাদের স্কুলে যে গ্রুপ ডি কর্মী ছিলেন, তাঁর চাকরি গিয়েছে কিনা জানি না। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি স্কুলে আসছেন না। যার ফলে আমাদের যাবতীয় কাজ করতে হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৮২৩ জনের ওএমআর শিট বিকৃত করে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, ২৮২৩ জনের মধ্যে ১৯১১ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে। বিষয়টি জানার পরে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ক্ষমতা প্রয়োগ করে আইন অনুযায়ী বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরেই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিলেন চাকরিহারা গ্রুপ ডি কর্মীরা।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup