TMC Leader Murder: বাইক থেকে নেমে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, শোরগোল বিষ্ণুপুরে

পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ভয়াবহ ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে। বিষ্ণুপুরের আঁধারমানিক এলাকার দুর্গাবাটি এলাকায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু তৃণমূলের বুথ সভাপতির। মৃতের নাম সাধন মণ্ডল। একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় তুমুল উত্তেজনা রয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

সূত্রের খবর, ওই ব্য়ক্তি এদিন একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। সেই সময় তিনজন দুষ্কৃতী বাইকে চেপে এলাকায় আসে। এরপর বাইক থেকে নেমে একজন দুষ্কৃতী চায়ের দোকানের সামনে আসে। এরপর শুরু হয় পরপর গুলি। সেই সময় দোকানে একাধিক ব্যক্তিও ছিলেন। তারা প্রাণভয়ে পালিয়ে যান।

সেই সময় তৃণমূল নেতার ভাইপো ঘটনাস্থলে ছিলেন। তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন। তবে কী কারণে গুলি তা স্পষ্ট নয়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিক কারণেও এই ঘটনা হতে পারে। তবে ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা থেকে এই ঘটনা কী না সেটা দেখা হোক। তবে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি পিন্টু  সর্দার সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কারণে এই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।

ওই ব্যক্তি আঁধারমানিক পঞ্চায়েতের ২১৮ ও ২১৯ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ তিনি চায়ের দোকানে বসেছিলেন। সবে সন্ধ্যা নেমেছে। চায়ের দোকানে একে একে লোকজন আসতে শুরু করেছেন। আচমকাই একটি বাইক এসে থামে চায়ের দোকানের সামনে। সেখান থেকে তিনজন দুষ্কৃতী নামে। এরপর চায়ের দোকানের ভেতরে ঢুকে শুরু হয় গুলি বর্ষণ। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা। আতঙ্কে যে যেদিকে পারে পালায়। 

রক্তে ভেসে যায় চারদিক। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন একে একে ঘটনাস্থলে আসে। ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তবে দুষ্কৃতীদের চিনতে পারা যায় নি বলে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি। 

বিজেপির দাবি তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে এই ঘটনা। তবে তৃণমূল অবশ্য এনিয়ে মন্তব্য করেনি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কারা এই ঘটনার পেছনে রয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। দুষ্কৃতীরা কোথায় গেল সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup