সরকার যদি নাগরিকের সম্পত্তি রক্ষা করতে না পারে তবে তা পরিতাপের: সুপ্রিম কোর্ট

রাজ্য যদি তাদের নাগরিকের সম্পত্তি রক্ষা করতে না পারে তবে সেটা খুবই পরিতাপের। এমনটাই সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ। সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলায় জানিয়েছে, যদি সাধারণ নাগরিকের বাড়িতে তাণ্ডব চালানো হয় তবে দোষীরা যাতে রেহাই না পায় সেটা দেখতে হবে।  না হলে সাধারণ মানুষ রাজ্যের প্রতি তাদের আস্থা হারাবেন।

এদিকে ২০১৬ সালে জাট বিক্ষোভের সময় ঝাঝরের এক নাগরিক সুনীল সাইনি সহ কয়েকজন আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। তাদের বাড়ি, দোকান গোডাউনে তাণ্ডব চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। জাঠেদের সংরক্ষণের দাবিতে সেই সময় আন্দোলন নেমেছিলেন জাঠ সম্প্রদায়। সেই আন্দোলনের জেরেই হিংসা ছড়়িয়েছিল। আগুন জ্বালানো হয়েছিল সম্পত্তিতে।

এদিকে আবেদনকারীরা বার বার তাদের মামলা রাজ্য়ের বাইরে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছিলেন। কারণ প্রভাবশালী আইনজীবী এই মামলাকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছিলেন বলে তাদের দাবি। ৬ বছরে মাত্র ৪২জন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান নেওয়া হয়েছিল। তবে সেই ঘটনায় দুজনের মৃত্য়ু হয়েছিল এতটাই তীব্র ছিল আন্দোলন। 

বিচারপতি কেএম যোশেফ ও বিভি নাগারত্নের বেঞ্চ জানিয়েছেন, নাগরিকদের জীবন ও তাদের সম্পত্তির অধিকারকে রক্ষা করতে হবে। এটা রাজ্যের প্রাথমিক কাজ। যদি এই অপরিহার্য কর্তব্যকে পালন না করা হয় তবে সেটা হবে পরিতাপের বিষয়।

তবে এই মামলার শুনানিকে রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সায় দেয়নি আদালত। কারণ সেটা সময় সাপেক্ষ। তাছাড়া ৪২জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়ে গিয়েছে। রাজ্য়ের তরফে আদালতে জানানো হয়েছে. আগামী মে মাসে একজন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটরকে আনা হবে। তিনি গোটা মামলার দেখাশোনা করবেন। 

গত ৩০ জানুয়ারি অর্ডার পাস করা হয়েছিল। মঙ্গলবার এটি আপলোড করা হয়েছে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ পাবলিক প্রসিকিউটর স্বচ্ছভাবে কাজ করার প্রতি দায়বদ্ধ। এব্যাপারে ভয়হীন ভাবে কাজ করার জন্যও আদালতের তরফে জানানো হয়েছে।  যতদিন না পর্যন্ত সেটা হয় ততদিন পর্যন্ত সাধারণ মানুষ রাজ্য়ের প্রতি তাদের আস্থা হারিয়ে ফেলবেন। 

তবে জাঠেদের সংরক্ষণ সংক্রান্ত আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। তার জেরে একাধিক এলাকায় চলে তাণ্ডব। তাতে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup