International Mother Language Day: বাংলা ভাষার উপর কতটা নির্ভরশীল এই বঙ্গ? কী বলছেন সাধারণ বাঙালি? শুনল HT বাংলা

প্রশ্নটা খুব নতুন নয়। অমর একুশের উপলক্ষে প্রশ্নটা যেমন শোনা যায়, তেমনই বাংলা ভাষা নিয়ে বিতর্কের মাঝেও বারবার উঠে আসে এই জিজ্ঞাসা। পড়াশোনা থেকে কর্মক্ষেত্র, অনেক জায়গাতেই এখন প্রযুক্তি আর প্রযুক্তির পিছুপিছু ইংরেজি ভাষা জায়গা দখল করে রেখেছে। এমন অবস্থায় বাংলা ভাষার উপর কতটা নির্ভর করতে হয় আমাদের পশ্চিমবঙ্গকে?

কোনও একপক্ষের মতামতের উপর ভর না করে বিভিন্ন বর্গের মানুষের কথা শোনার চেষ্টা করল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা‌। ছাত্র থেকে সরকারি অফিসের কর্মচারী কার কাছে কেমন গুরুত্ব পাচ্ছে বাংলাভাষা? রোজকার বাজারঘাটেই বা এর কতটা গুরুত্ব? কাজের ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা সত্যিই কী জানা জরুরি? একাধিক সওয়াল-জবাবে এই সব প্রশ্নেরই উত্তর উঠে এল।

সম্প্রতি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র কোর্স মাঝপথে ছেড়ে দেওয়ার কারণে তা খবরের শিরোনামে আসে। কেন হঠাৎ পড়াশোনা ছাড়তে হয়েছিল তাঁদের? সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বাংলায় উত্তর লেখার সুবিধা নেই সেখানে। এর ফলে পড়াশোনায় বেশ সমস্যা হচ্ছিল। কমে যাচ্ছিল পরীক্ষার গ্ৰেড। একজন জানিয়েছিলেন, ‘ইংরেজিতে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ফলে প্রশ্ন বুঝতে পারিনি। পরীক্ষায় পাশ করব কি না জানি না!’ ভাষা দিবস উপলক্ষে, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নির্নিমেষ সাহার (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে যোগাযোগ করে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তাঁকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ‘ক্লাসে ইংরেজিতে পড়াশোনা হয় বলে অনেক বিষয় ঠিকমতো বোঝা যায় না। আবার পরীক্ষার খাতায় লেখার সময়ও ইংরেজি লিখতে হয়।‌ যা লিখতে চাইছি, তা ভালো করে লিখেই উঠতে পারি না। নম্বর কমে যায়।’ তাহলে বাংলা ভাষার উপর নির্ভরশীলতা কেমন? তাঁর কথায় ‘যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা পড়ার স্বপ্ন দেখে, সেখানে বাংলা ছাড়া অন্য বিষয়ে নির্ভরশীলতা নেই বললেই চলে।’

এরপর যোগাযোগ করা হয়, আইটি সেক্টরে নামজাদা সংস্থায় কর্মরত দ্বৈপায়ন গোস্বামীর (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে। প্রশ্ন একই। উত্তর ছিল,‘আমি বরাবর বাংলা মিডিয়ামের ছাত্র ছিলাম‌। বাংলা ভালো লাগত। ফেসবুকে সুযোগ পেলে বাংলায় গল্প কবিতাও লিখি। কিন্তু ওটুকুই। অফিস চত্ত্বরে ঢুকে মুখের ভাষা হিন্দি আর লেখার ভাষা ইংরেজি হয়ে যায়। এর বাইরে বাংলায় কথা বলাই হয় না।’

বড়বাজারে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে ব্যবসা করছেন প্রহ্লাদ সামন্ত (নাম পরিবর্তিত)। ভাষা নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা কেমন? তিনি জানাচ্ছেন, ‘বাঙালি কিছু দোকানদার শহরতলি থেকে মাল কিনতে আসে, তখন বাংলায় কথা হয়। কিন্তু হিন্দিই এখানে চলে বেশি। তাছাড়া আমাদের মাল যারা সাপ্লাই দেয়, তারা ননবেঙ্গলি। তাদের সঙ্গে বাংলায় কী কথা বলব! ব্যবসা করতে গেলে এটা তো মানিয়ে নিতে হবে। যে যে ভাষা বোঝে তাকে সে ভাষায় বলতে হয়।’

অর্থাৎ সব ক্ষেত্রে না হলেও নিত্যদিনের হাটেবাজারে বাংলা ভাষাতেই এখনও নির্ভর করছেন অনেকে। আবার অনেক জায়গাতেই কাজের ভাষা হিসেবে গুরুত্ব পায় না বাংলা ভাষা। ইংরেজি ও হিন্দিতেই বেশি মানুষ নির্ভর সে ব্যাপারে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup