Youngest organ donor in India: ১৭ বছরের মেয়ের অঙ্গে প্রাণ রক্ষা বাবার, এর আগে এত কম বয়সে কেউ এ কাজ করতে পারেননি

বয়স এখনও ১৮ পেরোয়নি, অথচ মন পেরিয়ে গিয়েছে অনেকটা পথ। দুসাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার কায়দাই বলে দেয় সে কথা। ১৭ বছরের কিশোরী দেবানন্দা সম্প্রতি অঙ্গদান করে তেমনই সাহসের পরিচয় দিল। কী কারণে হঠাৎ অঙ্গদান? তার বাবার ক্রনিক লিভার রোগ। লিভার প্রতিস্থাপন না করলেই নয়। এমন অবস্থায় লিভার প্রতিস্থাপন করতে হলে অঙ্গদাতা চাই। এদিকে অঙ্গদাতা হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে না কাউকে। পাওয়া গেলেও দেখা যাচ্ছে, তার লিভার বাবার শরীরের জন্য উপযু্ক্ত নয়। অবশেষে উপায় না দেখে মেয়ে ঠিক করল তার লিভার দিয়েই ফিরিয়ে দেবে বাবার জীবন।

চিন্তাভাবনায় যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিলেও অন্যদিক থেকে আসছিল বাধা। ভারতের আইন অনুযায়ী ১৮ বছর বয়স না পেরোলে কোনও নাবালক বা নাবালিকা তার অঙ্গদান করতে পারে না। তবে নাবালিকা কিশোরী দমে যায়নি। আইনের সাহায্য পেতেই শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয় দেবানন্দা। কেরালা হাইকোর্টে আবেদনের পর অনুমতিও পেয়ে যায় কিশোরী। এরপরেই প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়েই অঙ্গদান করে সে। এই গোটা ঘটনা যখন ঘটেছে তখন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ দেরি!

এই দিন একটি সাক্ষাৎকারে দেবানন্দা সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানান, ‘বাবার জীবন বাঁচাতে পেরে আমি খুব খুশি। একটি অঙ্গ না থাকার জন্য একজনের মৃত্যু থেকে গোটা একটি পরিবার ভেসে যেতে পারে। তাই অঙ্গদানের বিষয়ে আমাদের সমাজের আরও বেশি সচেতনতা ও উৎসাহ দরকার।’ তার বাবার অঙ্গ প্রতিস্থাপন অস্ত্রপচার হয় আলুভার রাজগিরি হাসপাতালে। দেবানন্দার বিরল সাহসের পরিচয় দেখে অস্ত্রপচারের যাবতীয় খরচ মকুব করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, ১৭ বছর বয়সি দেবানন্দা দেশের সর্বকনিষ্ঠ জীবিত অঙ্গদাতা। ২০২২ সালে দিল্লির এক ছয় বছরের শিশুর অঙ্গের সাহায্যে আরও পাঁচ ব্যক্তির প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল। রোলি প্রজাপতি নামের শিশুটিকে নয়ডায় অজ্ঞাতপরিচয় দুস্কৃতিরা গুলি করে খুন করে। যার ফলে তাকে আর বাঁচানো যায়নি। তবে তার অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে তার অঙ্গ দিয়ে আরও পাঁচজনের প্রাণ বাঁচিয়ে তোলেন চিকিৎসকরা।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup