কোনও মামুলি ব্যবসায়ী নয়, এবার চাঁদা চেয়ে প্রাক্তন মন্ত্রীকে হুমকি তৃণমূল কর্মীর

উৎসব আয়োজনে চাঁদাবাজির অভিযোগ রাজ্যে নতুন নয়। ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ, ভুক্তভোগী সবাই। মঙ্গলবারই জেলায় তোলাবাজির সমস্যা স্বীকার করেছেন বারাকপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে এবার তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রীকে চাঁদার দাবিতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের সঙ্গে ক্লাব সদস্যের সেই কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল সেই অডিয়ো ক্লিপে নিজেকে নন্দীগ্রামের ভূতামোড় সাথী উৎসবের আয়োজক ও তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে এক ব্যক্তিকে সৌমেনবাবুর সঙ্গে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। ক্লাব সদস্য বলছেন, এবার উৎসব আয়োজনে দলের তরফে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। পুরোটাই নিজেদের খরচে আয়োজন করতে হয়েছে। এমনকী প্রধান অতিথি হিসাবে সৌমেনবাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি আসেননি। চাঁদাও দেননি।

এপর্যন্ত ঠিকই ছিল, এর পর ওই ক্লাব সদস্য বলেন শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থাকাকালীন ৫০ – ৬০ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতেন। শুভেন্দুর নাম শুনেই ক্ষেপে ওঠেন সৌমেন মহাপাত্র। বলেন, তাহলে তাঁর দলেই চলে যান। পালটা ক্লাব সদস্য বলেন, ভোটের সময় দেখে নেব। এই নিয়ে ফোনেই তুমুল বিতণ্ডা শুরু হয় ২ জনের।

চাঁদার জন্য প্রাক্তন মন্ত্রীকে হুমকি দেওয়ার অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হতে জেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

এই নিয়ে স্থানীয় এক বিজেপি নেতা বলেন, তৃণমূলের জমানায় একদিকে দুর্নীতি আরেকদিকে কেন্দ্রের টাকায় মেলা – খেলা হয়েছে। এখন দুর্নীতির টাকাও বন্ধ। কেন্দ্রীয় সরকারও হিসাব না দিলে টাকা দেবে না বলে দিয়েছে। ফলে আগের মতো খয়রাতি আর করা যাচ্ছে না। কিন্তু যে বাঘের পিঠে তৃণমূল উঠেছে তা থেকে তো তাদের নামতে হবে।