তাঁর চাকরি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছিল বাবা জেলে যেতেই। আর এবার বেতন বন্ধ হয়ে গেল অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যার। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানুয়ারি মাস থেকে তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ছুটির মেয়াদ ফুরালেও কাজে যোগ না দেওয়ায় তাঁর বেতন বন্ধ করা হয়েছে।
অনুব্রতর মেয়ের চাকরি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। বোলপুরের বাড়ির কাছেই কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার চাকরি পান সুকন্যা। সুকন্যা যখন নিয়োগ পান তখন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি ছিলেন অনুব্রতর ভাগ্নে। এর পরই সুকন্যা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। সেই মামলায় সুকন্যাকে নথি নিয়ে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
ওদিকে স্থানীয়দের দাবি, সুকন্যা যে ওই স্কুলের শিক্ষিকা তা জানা নেই কারও। জীবনে কোনও দিন স্কুলে যাননি তিনি। বাড়ি বসে হাজিরা খাতায় সই করে বেতন তুলেছেন। এই নিয়ে অবশ্য সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে অস্বীকার করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তনুশ্রী ঘোষ।
বুধবার জানা যায়, জানুয়ারি থেকে সুকন্যার বেতন বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, সুকন্যার প্রাপ্য ছুটির মেয়াদ ফুরিয়েছে। তার পরও দীর্ঘদিন স্কুলে আসেননি তিনি। অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে তাঁকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেই চিঠিরও কোনও জবাব দেননি তিনি। যার ফলে বন্ধ করা হয়েছে বেতন।
যদিও জেলবন্দি থাকাকালীনই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে বৈধ উপায়েই চাকরি পেয়েছে। টেট পাশের শংসাপত্র রয়েছে সুকন্যার।