পেটের ভেতর থেকে মোবাইল বের করলেন ডাক্তারবাবু, ভয়ে গিলে ফেলেছিলেন জেলবন্দি

রুচির কুমার

পটনার ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে বুধবার এক জেলবন্দির পেট থেকে মোবাইল ফোন বের করলেন চিকিৎসকরা। তল্লাশির সময় ওই বন্দি গত শনিবার ফোন গিলে ফেলেছিলেন। মেডিক্যাল সুপার ডঃ মণীষ মণ্ডল একথা জানিয়েছেন। 

তিনি জানিয়েছেন, মোবাইলের আয়তন ৩.৫X ২। সেটিই তিনি গিলে ফেলেছিলেন। এদিকে সেটি তার পেটে চলে যায়। গ্য়াসট্রোএনট্রোলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেস ডাঃ আশিস ঝা জানিয়েছেন, এনডোস্কপির মাধ্যমে এটির অবস্থান জানা যায়। 

তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এন্ডোস্কপির মাধ্যমে মোবইলের মতো বড় জিনিস বের করাটা সমস্যার। তবে দক্ষ চিকিৎসকরা ৩০ মিনিটের মধ্য়ে সেটি বের করেছেন। এমনকী পেট কেটে মোবাইলটি বের করার জন্য়ও তৈরি ছিলেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই প্রথম এই ধরনের পেট থেকে মোবাইল বের করার ঘটনা হল। তবে অপারেশনের পরে ওই বন্দিকে ফের জেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। 

বন্দির নাম কায়জার আলি। বয়স ২৭ বছর। জেলে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। সেই সময় তিনি আতঙ্কে ফোনটি গিলে ফেলেন। এদিকে কিছুক্ষণ পর থেকেই ওই বন্দির পেটে ব্যাথা হতে শুরু করে। তারপরই ব্যাপারটি বোঝা যায়।

এরপর এক্সরে করে জানা যায় পেটের ভেতরে বড় কোনও জিনিস রয়েছে। তারপরই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। পরে তার চিকিৎসার জন্য় পটনায় পাঠানো হয়। 

২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ পুলিশ গ্রেফতার করেছিল কায়জারকে। তার বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তিন বছরের জন্য সে জেলে রয়েছে। এদিকে সে জেলের মধ্যে মোবাইল ব্যবহার করত বলে অভিযোগ। পুলিশ এনিয়ে তল্লাশি চালাতেই ভয় পেয়ে গিয়েছিল ওই বন্দি। সে ভয়ে ফোন খেয়ে ফেলে। তারপরেই বিপত্তি। প্রচন্ড পেটে ব্যাথা। তবে অবশেষে পেট থেকে মোবাইল বের করলেন চিকিৎসকরা। 

এক চিকিৎসক বলেন, এত বছরের কেরিয়ারে এমন ঘটনা কোনওদিন দেখিনি। আস্ত মোবাইল খেয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু সেটি বের করা সম্ভব হয়েছে।

এদিকে বিহারের জেলের মধ্য়ে বন্দিদের কাছে কী ভাবে মোবাইল চলে যাচ্ছে তা নিয়ে নানা সময় উদ্বেগ ছড়িয়েছে। 

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup