প্রশাসনিক চাপের মুখে পাহাড়ে বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারীদের

প্রশাসনিক চাপের মুখে আত্মসমর্পণ করে পাহাড়ে প্রত্যাহার করে নেওয়া হল বনধ। বুধবার দুপুরে একথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের নেতা বিনয় তামাং। এর ফলে বৃহস্পতিবার দার্জিলিং পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ হচ্ছে না। বৃহস্পতিবারই শুরু হচ্ছে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। পাহাড় থেকে প্রায় ৯০০০ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন এই পরীক্ষায়।

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রাজ্যভাগ বিরোধী প্রস্তাব পাশের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে বনধ ঘোষণা করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও হামরো পার্টি। ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেয় তারা। এর পরই মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। বিকেলে শিলিগুড়ি পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী বনধ করতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করেন। সঙ্গে বনধ মোকাবিলা করতে পাহাড়ে ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থার আয়োজনের নির্দেশ দেন তিনি।

তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি, সাধারণের অসুবিধার কথা ভেবে বনধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হল, ২৪ ঘণ্টা আগে সাধারণের সমস্যার কথা কেন তাঁদের মনে পড়ল না।

বুধবার রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয় রাজ্যভাগ বিরোধী প্রস্তাব। প্রস্তাব পেশের সময় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় গোর্খাদের অনুপ্রবেশকারী ও আদিবাসীদের বহিরাহত বলে উল্লেখ করেন।